সিলেট প্রতিনিধিঃ
মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই আরিফুল ইসলাম রাহাতকে হত্যা করে পালিয়ে যায় সামসুদ্দোহা সাদী। কলেজের রাস্তার মধ্যে থাকা স্পীডব্রেকারে মোটরসাইকেল থামলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালায় সাদী। তার সাথে কিলিং মিশনে অংশ নেয় সিলাম পশ্চিমপাড়ার জামাল মিয়ার ছেলে তানভীর আহমদ (১৯)।
আজ বুধবার ২৭ অক্টোবর সাদিকে গ্রেপ্তারের পর প্রেস কনফারেন্সে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায় সিআইডি।
প্রেস কনফারেন্সে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, সাদি খুবই ধূর্ত প্রকৃতির! রাহাতকে হত্যা করতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় নেয়। হত্যা করেই তানভীরকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে সাদি যায় ঢাকার মিরপুরে। পরে সেখান থেকে পালিয়ে কুষ্টিয়ার দুর্গম চরাঞ্চলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সে দেশ ত্যাগের সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিলো। কিন্তু এর মধ্যে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার স্থান নিশ্চিত করে সিআইডি গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রাহাত হত্যার দায় স্বীকার করেছে আসামী সাদি। গ্রেপ্তারকৃত সাদি সিলাম টিকরপাড়ার সৌদি প্রবাসী মোবারক আলীর ছেলে। উল্লেখ্য: গত ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের মূল ফটকের অদূরে (কলেজের ভেতরের) রাস্তায় রাহাতকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সাদি ও তানভীর। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রাহাত। সাদি ছাত্রলীগের কাশ্মির গ্রুপের রাজনীতি করতো বলে জানান রাহাতের চাচাতো ভাই রাফি। এছাড়া নিহত রাহাতও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। তিনি তেতলী ৩নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের উপ ক্রীড়া সম্পাদকের দ্বায়িত্বে রয়েছেন।
রাহাত হত্যার ঘটনায় ৩ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার ২২ অক্টোবর রাতে তার চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা নং- ২১, তাং- ২২.১০.২০২১ইং।
আপনার মতামত লিখুন :