৩০ শয্যার জনবলে চলবে ১৫০ শয্যা!


দ্য সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১২, ২০২১, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন /
৩০ শয্যার জনবলে চলবে ১৫০ শয্যা!

ফেনী: ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালের ৩০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডকে ১৫০ শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছেছে।

কিন্তু এখনই প্রয়োজনীয় জনবল না বাড়ানোয় আগের ৩০ শয্যার জনবলে চলবে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল।

 

অনুরূপ, বাড়েনি রোগীর খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ। যদিও আগের আইসোলেশনে ৩০ শয্যার কথা বলা হলেও শতাধিক রোগী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন, সমপরিমাণ রোগীর জন্য বরাদ্দ করা টাকাতেই মিলছে আইসোলেশনে চিকিৎসারত সবার খাবার।

তবে জনবল বৃদ্ধি এবং রোগীর খাবারের মান বাড়াতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য লিখিতভাবে জানানো হচ্ছে বলে জানান আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।

তিনি জানান, ১৫০ শয্যার অনুমোদনের পরই জনবল ও অর্থ বরাদ্দের আবেদনের নিয়ম রয়েছে। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি সভা হয়েছে। ঢাকার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করে শিগগিরই চাহিদাপত্র পাঠানো হবে।

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে দায়িত্বপালন করছেন ৮ জন কনসালটেন্ট, মেডিক্যাল অফিসার ১৬ জন, নার্স ২৪ জন এবং অন্যান্য ৩০ জন। তবে এ জনবল তিন ভাগ হয়ে দায়িত্বপালন করে থাকে। এদের প্রত্যেকেই ১৪ দিন কাজ শেষে নির্দেশনা অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনে চলে যান। ফলে নির্ধারিত শয্যার প্রায় পাঁচগুণ বেশি রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এমন পরিস্থিতি চিকিৎসক, রোগী-সবার জন্যই কষ্টকর।

জেলার সবগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ওয়ার্ড ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা থাকলেও কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ধারণক্ষমতার বেশি। রোগীর অত্যাধিক চাপ বেড়েছে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে।

গতমাসে সর্বোচ্চ ১৪১ জন রোগী কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং নিয়মিত শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন বলে ইতোপূর্বে জানান আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রিপন নাথ।

তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী জেলার সীমানাবর্তী অঞ্চলের রোগীরা এ হাসপাতালমুখী। ফলে রোগীর চাপও বেশি।