সিলেট প্রতিনিধিঃ মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরির মাঝে প্রকৃতিতে শরৎ নিয়ে আসে এক নৈসর্গিক মুগ্ধতা। ঋতুবৈচিত্র্যের দেশে শরতের আগমনী বার্তা ইট-পাথরের নগরে বোঝার উপায় নেই। আর বোঝা গেলেও নগরজীবনের ব্যস্ততায় উৎসব আয়োজন করা হয়ে ওঠে না। তবুও কিছু আয়োজন নগরবাসীকে এখনও জানান দিয়ে যায়- ঋতুচক্রের আবর্তে প্রকৃতিতে এসেছে বর্ষা, বসন্ত কিংবা শীত। তেমনি একটি আয়োজন ‘শরৎ উৎসব।’
শুক্রবার ৮ অক্টোবর শ্রুতি সিলেট আয়োজনে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান নগরবাসীর মনে এনে দেয় একটু প্রশান্তি ছোঁয়া। নীল-সাদা শাড়ি, খোঁপায়-হাতে ফুলের সাজ আর নাচে-গানে চলে শরৎবন্দনা। শ্রুতি সিলেটের আয়োজনে শরৎ উৎসবের মূল আয়োজনে পরিবেশন করা হয় গান-কবিতা-নৃত্য। ছিল ‘শরৎ কথন’ পর্ব। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের সম্মানীয় জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, বাংলা একাডেমির উপ পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, ভারতীয় সহকারি হাই কমিশন নিরাজ কুমার জয়সওয়াল।
পাশাপাশি শরৎ কথন পর্বে অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট- সিলেট’র সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের যুগ্ম সদস্যসচিব মাসুম আজিজুল বাসার, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিসফাক আহমেদ মিশু সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, শ্রুতি সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত।
এসময় বক্তারা বলেন- সোনালি রোদ্দুরের ঝিলিমিলি আর রাতের জ্যোৎস্নায় মাতোয়ারা মন। নদীতীরে বনের প্রান্তে অপরূপ শোভা ছড়ায় শুভ্র কাশফুল। শরতের কাশফুলে মুগ্ধ হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুস্কর।
অর্ধদিবসব্যাপী আয়োজনে সমবেত নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি পরিবেশন করেন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, গীতবিতান বাংলাদেশ, নৃত্যশৈলী, ছন্দনৃত্যালয়, সুরেরভূবন, সুরসপ্তক এবং একক সংগীত পরিবেশন করেন শামীম আহমেদ, প্রদীপ মল্লিক, ইকবাল শাঁই, লিংকন দাশ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন