রোজ বিকেল, বিষণ্ণতা খুঁজে এসে
ফিরে যায় বত্রিশটি পালক।
আঁধারের দুয়োর ভেঙে ব্যথিত শব্দ-নদী,
ঢেউ উড়িয়ে এনে দাঁড়ায়-
ধানমন্ডির তরঙ্গ আশ্রিত
হৃদি-বারান্দায়। শ্রাবনের রিমিক গুঞ্জন
ভুলে আর্তনাদের পারাবত
স্থবির চোখে নামিয়ে আনে মেঘলা
আকাশ। দামাল লক্ষিবিলাসের ডগায়
জমে থাকা শিশির
নিঃশেষে হারায়। ভেসে যায় কার্পাস
তুলো নিরুদ্দেশের যাত্রারথে। উল্টো
হাওয়ায় ভেড়ে জাহাজ
শহুরে আড্ডার বন্দরে; গণগণে সেই
আগুন ভর্তি জাহাজ।
সিঁড়ির কারুভাজে সহস্র শিল্পী,
অশ্রু-কান্না মিশিয়ে এঁকেছে সম্রাটের
সিক্ত শরীর
ফুটে আছে রক্ত সরবরে ক্রন্দিত
শাপলা, অপলক উজ্জ্বল চোখ চেয়ে
আছে সুউচ্চ নক্ষত্রের চোখে
ঠোঁটের অস্ফুট কলরব যেন আঁকে
অসমাপ্ত কাজের জমানো নকশা
তর্জনী এখনও উদ্যত যেন অমৃত
শব্দগুলো অপেক্ষার বাতাস ভেঙে
এসেছে
বলিষ্ঠ কাঁধে অমানিশা পেরুবার
সুকঠিন পাটাতন
বুকের ছাতির নিচে লুকিয়ে আছে সাত
কোটি মানুষের অবিমিশ্র ছায়া
কপালের ভাঁজে ভাঁজে ভেসে আছে
দিগ্বিজয়ী ঘোড়ার ছুটন্ত মিছিল
আস্তিনের গহনে হারিয়ে যাওয়া মমতার
শেষ রাত্রির ছাপ, কোলাহলে ডুবে
গ্যাছে
সেই আহ্লাদের সূর্য দপ করে গ্যালো
নিভে;
যে বন্য-হিংস্র নখ লুকিয়ে ছিল
অন্তরালে, তা একদিন প্রকাশ্যে
মুখোশহীন মুকুটে।
বীরদর্পে শৃগাল চোখে,অস্ত্রসজ্জা
সিংহাসনে। লুটে নিল ক্ষমতা, পোশাকে
আর কালোবুটে।
মন্তব্য করুন