প্রবাসে হবিগঞ্জের দুই যুবকের মৃত্যু


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : মে ২৭, ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন /
প্রবাসে হবিগঞ্জের  দুই যুবকের মৃত্যু
নুরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ প্রতিনিধি 
হবিগঞ্জের  নবীগঞ্জ উপজেলায় একদিনে দুই প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের একজন আয়ারল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন, অন্যজন সৌদি আরবে গাড়ি চালাতেন। একজন জ¦রে আক্রান্ত হয়ে এবং অপরজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ সর্দার বাড়ির মৃত গেদা মিয়ার পুত্র সুফায়েল আহমেদ (৩৫) এবং উপজেলার ৯নং বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামের নানু মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া (২৫)।
জানা যায়, সুফায়েল আহমেদ দীর্ঘ প্রায় এক যুগ আগে পর্তুগাল পাড়ি জমান এবং সেখানে অবস্থানকালীন রেসিডেন্ট কার্ড সংগ্রহ করে প্রায় দুই বছর আগে চলে যান আয়ারল্যান্ডে। সেখানেই তিনি স্ত্রীসহ বসবাস করছিলেন এবং একটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী। স¤প্রতি তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ২৪ মে, শনিবার (বাংলাদেশ সময়) রাত ৭টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তার চাচাতো ভাই আবুল কালাম মিঠু বলেন, “প্রায় এক যুগ আগে তিনি বিদেশে পাড়ি জমান। পরিবার ও ভবিষ্যতের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। তার মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ।”
অন্যদিকে, উপজেলার ৯নং বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপাড়া গ্রামের রিপন মিয়া (২৫) সৌদি আরবে গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৪ মে হুদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
৯নং বাউসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান শিশু বলেন, “আমার ইউনিয়নের একজন প্রবাসী মৃত্যুবরণ করেছেন জানতে পেরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তারা যে সহযোগিতা চেয়েছেন, তা দিয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর দিয়েছি।”
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই যুবকের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একই দিনে দুই প্রবাসী যুবকের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা শোকাহত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।