নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে॥
পিতা আসাব উদ্দিন নিজ হাতে কবরে শায়িত করলেন সদ্য বাহরাইন প্রবাসী পুত্র শামীম আহমদ (২৫) কে। এর আগে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের জানাজার নামাজ শনিবার (৬ নম্ভেম্বর) বাদ মাগরিক স্থানীয় রতনপুর প্রাইমারী স্কুল মাঠে অনুষ্টিত হয়।
জানাজার নামাজে কয়েক হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। দু’টি লাশকে সারি বদ্ধ ভাবে এক সাথে জানাজার নামাজ শুরু হওয়ার পুর্বে শুরু হয় কান্নার রুল। এলাকায় চলছে শোকের মাতম। ঘটনায় অপর আহত বাহরাইন প্রবাসী আতাউর এর অবস্থা এখনও শংকাটাপন্ন। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের আসাব উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমদ (২৫) সদ্য বাহরাইন প্রবাস থেকে তার বন্ধু একই গ্রামের মৃত উকিল মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান (২৬) কে নিয়ে দেশে আসে। শুক্রবার সকালে তিন বন্ধু আতাউর, শের আলীসহ শামীম মোটর সাইকেল যোগে মৌলভীবাজার বেড়াতে যায়। সেখানে প্রবাসী বন্ধুদের সাথে দেখা করে বিকালে বাড়ির দিকে ফেরার পথে নবীগঞ্জের মডেলের বাজার নামকস্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলের লরি গাড়ীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই শামীমের মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিটকে পড়ে। অপর আহত তার দু’ বন্ধু শের আলী ও আতাউর রহমানকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রতনপুর গ্রামের মৃত গৌছ আলীর ছেলে শের আলীর মৃত্যু ঘটে। অপর আহত বাহরাইন প্রবাসী আতাউর রহমানকে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও বর্তমানে শংকাটাপন্ন। শনিবার সকালে শামীমের লাশ হবিগঞ্জ এবং শের আলীর মৃতদেহ সিলেটে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দু’টি এলাকায় পৌছলে শুরু হয় কান্নার রুল। শোকাহত এলাকাবাসী। বাদ মাগরিব স্থানীয় প্রাইমারী স্কুল মাঠে অনুষ্টিত জানাযার নামাজে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি ঘটে।
বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীগণ, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। পরে পিতা আসাব উদ্দিনসহ স্বজনদের কাদেঁ করে শামীমের লাশ বহন করে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পিতা আসাব উদ্দিন নিজ হাতে প্রবাসী সন্তানের মৃতদেহ কবরে শায়িত করেন। পিতার কাদেঁ সন্তানের লাশ এমন দৃশ্য দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
মন্তব্য করুন