বিপ্লবী চে, আজো জীবন্ত


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১, ১১:২২ অপরাহ্ন /
বিপ্লবী চে, আজো জীবন্ত

মাহাদি হাসানঃ ৯ ই অক্টোবর ১৯৬৭। সি আই এ এবং বলিভিয়ার সেনাদের হাতে ধরা পড়েছেন চে গেভারা। বায়ে সি আই এর ফেলিক্স রড্রিগেজ। এটাই চে’ র জীবিত অবস্থায় শেষ ছবি। কিছুক্ষণ পরেই চে কে কাপুরুষের মতো নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

‘চে’ তার আসল নাম না, যদিও এটিই সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার ক্ষেত্রে। স্প্যানিশ ভাষায় ‘চে’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘প্রিয়’; কিউবায় সফল বিপ্লবের পর সেখানকার অধিবাসীগণ তার নাম দিয়ে দেয়-‘চে’। তিনি এই নামটিকে এত বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলেন যে ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ সাল, অর্থাৎ তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার স্বাক্ষর হিসেবে ব্যবহার করতেন শুধুই এই শব্দটি-‘চে’।

বিপ্লবের পরিকল্পনায় কাস্ত্রোর প্রথম পদক্ষেপ ছিল মেক্সিকো থেকে কিউবায় আক্রমণ চালানো। ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে তারা কিউবার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই বাতিস্তার সেনাবাহিনী তাঁদের আক্রমণ করে। সে যাত্রায় মাত্র ২২জন বেঁচে যাযন। চে গেভারা লিখেছিলেন, সেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সময় তিনি তাঁর চিকিৎসাসামগ্রীর সঙ্গে একজন কমরেডের ফেলে যাওয়া এক বাক্স গোলাবারুদও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তুলে নিয়েছিলেন। যা তাঁকে পরিশেষে চিকিৎসক থেকে বিপ্লবীতে পরিণত করল!

ওটাই ছিল সেই সন্ধিক্ষণ। যে-লগ্নে এক তরুণ চিকিত্‍সকের মনে জন্ম নিল এক বিপ্লবী! সেই বিপ্লবী, যাঁর নাম এর্নেস্তো চে গেভারা, তিনি ছিলেন এক বরেণ্য আর্জেন্টিনীয় মার্কসবাদী, বিপ্লবী, চিকিৎসক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবা বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। তার প্রকৃত নাম ছিল Ernesto Guevara de la Serna। তবে সারা বিশ্ব তাঁকে লা চে বা কেবলমাত্র চে নামেই চেনে। মৃত্যুর পর তাঁর মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন প্রতিসাংস্কৃতিক প্রতীকে পরিণত হয়। যা ক্রমে বিপ্লব-প্রতিবাদের বিশ্ব-প্রতীকে পরিণত হয়।

চে গুয়েভারার নাম শুনলেই চোখে ভাসে একজন রোমান্টিক-বিপ্লবীর অবয়ব। ১৯৬৭ সালে তাঁকে হত্যা করা হয়, কিন্তু দশকের পর দশকজুড়ে চে হয়ে রয়েছেন তারুণ্যের প্রতীক। যে তরুণ স্বপ্ন দেখে, যে তরুণ সবার জন্য সমান একটি পৃথিবীকে আলিঙ্গন করতে চায়, তার সবচেয়ে বড় অবলম্বন চে।

বিপ্লবী চে, আজো জীবন্ত।
বাচঁতে সবার মন চায় , চে হতেও মন চায় । প্রিয় তুমি চে হয়ে বাচঁ ।