এমন মেঘাচ্ছন্ন জ্যোৎস্না আমরা চাই নি।
পণ করেছিলে একটি দেয়ালী চিত্রে থাকবে
সব পাখির পালক ঝরা হাজার আহত ডানার
একটি আকাশ। অমর সঙ্গীতে কোরাস গাইবে
রাই সরষে ক্ষেতের সব প্রকারের প্রজাপতি।
সোনালি প্রান্ত ধরে বালক পতাকা হাতে দৌড়িয়ে
হাপিত্যেস হয়ে উঠোনে দাঁড়ালে মা মুছে দেবে ঘাম।
কীর্ত্তনখোলার মাঠে ভর সন্ধ্যেবেলায়
ভৈরবী গান হবে। গৌরনদী স্নান সেরে
মুছে নেবে লাশের শরীরে আটকে থাকা ঘাতকের চিহ্ন।
পৌষের সূর্য ডুবতেই আজাদ ফিরে যাবে
অপেক্ষার গলি ধরে শেষ বস্তি ভিটেয়।
জগৎ জ্যোতি সব খুনের বুলেট চুরিকরে
দপ করে জ্বলে উঠবে দাঁতাল শুয়োরের কর্ণিয়ায়।
রায়ের সবক’টি আত্মারা শোকার্ত ছায়া
উপেক্ষা করে ভিড় করবে রাজপথে।
কলাভবনের শরীরে নীলিমার লিখে রাখা
বীরাঙ্গনার ঠিকানা পড়ে বুনো কবুতর এসে দাঁড়াবে
তোমার ৩২ নম্বর ঝুল বারান্দায়।
চেয়েছিলে দেখা অদেখা সর্বনাশের সব শকুন
ধারাল বন্য নখ গুটিয়ে নেবে।
জয়নুলের দূর্ভিক্ষের চিত্র হয়ে যাবে নিলাম।
গুণ লিখবেন প্রেমাংশুর রক্তের দ্বিতীয় অধ্যায়।
অজর কবিতা অবিনাশী গান গাইতে গাইতে
রাহমান বুনবেন কবিতার শ্রেষ্ঠ মায়াজাল।
মন্তব্য করুন