সৈয়দ উবায়দুর রহমান, সিলেট থেকেঃ
বাসদ (মার্কসবাদী) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর স্মরণে বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টায় সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর বার হল মিলনায়তনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শোক সভার শুরুতে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, সিলেটের বাম প্রগতীশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষক-সামাজিক ব্যক্তিবর্গ।
সভাপতিত্ব করেন জেলা আহ্বায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়। এডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েবের পরিচালনায় শোক সভায় বক্তব্য রাখেন- গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি সিলেটের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ব্যারিষ্টার মো. আরশ আলী, জাসদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি লোকমান আহমেদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক আবুল কাশেম, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা সভাপতি ও বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক সিরাজ আহমেদ, বাসদ জেলা সমন্বয়ক কমরেড আবু জাফর, ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সভাপতি সিকান্দার আলী, সাম্যবাদী আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক কমরেড সুশান্ত সিনহা, গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলা যুগ্ম সম্পাদক গুলজার আহমদ, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আমৃত্যু বিপ্লবী কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর সংগ্রামী জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাঁর প্রয়াণে বাংলাদেশের বামপন্থী আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। সিলেটে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর দল গঠনে ভূমিকা ও ব্যক্তিগত আলাপ চারিতায় তাঁর চারিত্রিক বলিষ্ঠতার প্রকাশ সকলকে আলোড়িত করত বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড উজ্জ্বল রায় বলেন, আমাদের দলের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশের বামপন্থী আন্দোলনের এক অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ৮৭ বছর বয়সে ৬ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢ স্কয়ার হাসপাতাল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে শুধু আমাদের দলই নয়, এই দেশের বাম-গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক বিরাট ক্ষতি হলো। তিনি আজীবন মার্কসবাদ – লেনিনবাদ – শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারার ভিত্তিতে বাংলাদেশের মাটিতে একটি বিপ্লবী দল গড়ে তোলার সংগ্রামে নিয়োজিত ছিলেন এবং দেশের বাম আন্দোলনে নতুন ধারা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দলীয় অনুমোদন সাপেক্ষে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে নিজের দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগে দান করে গিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন