নুরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শেষে ফেরার পথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ নেতার উপর হামলা হয়েছে। হামলায় তারা গুরুতর আহত হন। তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সদর আধুনিক হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে কথা বলেন পুলিশ কর্মকর্তারা এবং সেনাবাহিনীর একটি দল। আহতরা হচ্ছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সদস্য সচিব মাহদী হাসান, সদস্য সাইদুল ইসলাম, রকি ও অন্তর। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ছাত্রজনতার বিক্ষোভ শেষে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার(৯ মে) রাত ৮টার দিকে শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।
আহত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সদস্য সচিব মাহদী হাসান বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ছিলো। বিক্ষোভ শেষে আমরা রিক্সাযোগে ফিরছিলাম। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হামলাকারীদের পাশে ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিস্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সাকিব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নানা অনিয়মের সাথে জড়ানোর অভিযোগে ক’দিন আগে সাকিবকে বহিস্কার করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই তিনি নিজের লোকজন দিয়ে এ হামলা করিয়েছেন। হামলার সময় জয় বাংলা স্লোগান দেয়া হয় বিষয়টি ভিন্ন দিকে মোড় দেয়ার জন্য। আমার মনে হয়না এখন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এতো সাহস করবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার বলেন, আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করার দাবীতে আজ থেকে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আন্দোলন শেষে ফেরার পথে সংগঠনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সাকিব লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে সদস্য সচিব সহ ৪ জনকে আহত করেছে। এনামুল হক সাকিব হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা এক সাথে আন্দোলন করেছি, তাদের উপর হামলার প্রশ্নই উঠে না।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিন বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। আহতরা জানিয়েছেন, এনামুল হক সাকিব নামে একজন হামলা করিয়েছেন। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :