সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ১১ জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী ও বিমানবন্দর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। বৃহস্পতিবার ৪ নভেম্বর দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের পৃথক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এরআগে বুধবার ৩ নভেম্বর রাতে র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে তীর শিলং জুয়া খেলার সামগ্রী উদ্ধার করে।
বুধবার ৩ নভেম্বর রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কোতয়ালী থানাধীন দক্ষিণ বাগবাড়ী ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে শিমুলের পানের দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পুলিশ ৫ জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, পশ্চিম বাগবাড়ী সোনারবাংলা আ/এ ৬৮ নং বাসার হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল (২৪), গোয়াইনঘাট থানাধীন পাইকরাজ গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র কুমার দেবের ছেলে রবিন্দ্র কুমার দেব রবি (৩১), নেত্রকোনা জেলার মদন থানাধীন বনহাটি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সেলিম (৩৫), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার বানেশ্বর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে সুমন (২৩), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ শিচনী পাগলা গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র দাশের ছেলে লক্ষন দাস (৩০)।
এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আরেকটি দল বিমানবন্দর থানাধীন সাপ্লাই ৪৮নং বাসার জোবায়ের আহমেদের মালিকানাধীন বসতঘরের নীচ তলায় একটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, বিমানবন্দর থানাধীন সাপ্লাই রায় হোসেন ৭০ নং বাসার মৃত নূর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৪০), সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন ভাটিপাড়া গ্রামের শাহানুরের ছেলে কোহিল (৩০), ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন কিল্লা তাজপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে জজ মিয়া (৩৩), দিরাই থানাধীন ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াফিজ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (৩১), একই থানাধীন মধুরাপুর গ্রামের আলীকুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (৪২), চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন ঘুঘুরচর পাঠানবাড়ী গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে রুবেল (২৫)।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ১১জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি ও বিমানবন্দর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন