–মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী
যে মাটির উপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে, সে মাটি দ্রুত সরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মহা বিপন্ন অবস্থায় পতিত হয়ে আছে দীর্ঘ বছর ধরে। যেকোনো সময় মারাত্মক ও অমেরামতযোগ্য ক্ষতি বাংলাদেশের হয়ে যাবে।আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ চূড়ান্ত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।এই অবস্থা থেকে দেশকেরক্ষায় তৎপর না হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্বার্থপরতায় আমরা মশগুল হয়ে আছি। দেশকে রক্ষায় কেউ কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখলেও নিজেরা তাদেরকে সহযোগিতা করছি না যদিও আমরা দেশের রক্ষা চাই। সহযোগিতা না করার কারণ চরম আমিত্ববোধ। আমি কিংবা আমার দলের মাধ্যমে দেশের রক্ষা হলে আমি আছি অন্যথা দেশ ধ্বংস হয়ে গেলে হয়ে যাক।
শুনুন হে আমিত্ববাদীরা!
দেশ না থাকলে আমার আমিত্ব কি থাকবে? আমিত্ববোধে থাকার পাশাপাশি কারো ডিভাইড এন্ড রুল (divide & rule) পলিসির সহযোগিতাকারী হিসেবে ক্রীড়নকের ভূমিকাও পালন করে চলেছে আমিত্ববাদীরা! কে শিবির, কে বাম, কে আস্তিক, কে নাস্তিক, কে আলিয়া, কে শর্ষিনা, কে ভান্ডারী, কে শিয়া, কে সুন্নী, কে দোয়া-ল্লীন, কে জোয়া-ল্লীন, কে জোরে আমিন বলে, আবার কে নীরবে আমিন- এসব ফেরকায় আমরা মশগুল। ধিক আমাদেরকে!
আমাদের শতধা বিভক্তিই আমাদের দেশ ধ্বংসের জন্য মূল দায়ী। ছোট-খাটো এসব মত পার্থক্য ঐক্যের জন্য কোনো সমস্যা নয়। অথচ বিশাল সমস্যা থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা সমস্যাকে কোনো সমস্যা মনে না করে সমস্যাকে শাষ্তি না দিয়ে পরম আপন করে নেন। আর তাইআমাদের সবার শেখ হাসিনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। চরম মত পার্থক্য থাকা
সত্ত্বেও চরম প্রতিপক্ষকেও তিনি পরম আপন করে নিতে পারেন। কিছু আপন করে নেওয়া দেশের স্বার্থে পজেটিভ, আবার কিছু নেগেটিভ। কিন্তু বিএনপি জোট পজেটিভ আপন করে নেওয়ার ক্ষেত্রেও চরম অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে আসছে বারেবারে। বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর ঘোষণাকারী এবং বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে সামরিক যানের উপর দাঁড়িয়ে উল্লাস প্রকাশকারীদেরকেও দলে ভিড়িয়ে মন্ত্রীত্ব দেওয়া, ৫ মে খতমে হেফাজত আবার পরবর্তীতে তাদের থেকে কওমী জননী খেতাব নিয়ে মদিনার সনদে দেশ চালানোর ঘোষণা – এরকম অনেক নজীর শেখ হাসিনার বেলায় খুঁজে পাওয়া যাবে। কৌশলে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করতে যারা বারেবারে ব্যর্থ হয়ে আসছে, ট্র্যাক চেইন্জ করে তারা শেখ হাসিনার শতভাগ শিষ্যত্ব বরণ করলে তাদের সফল হওয়ার সুযোগ আসবে তবে তার আগে অনৈতিকতার ভিডিওতে জিম্মি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দল থেকে বের করে দেওয়া জরুরি। কিন্তু কে বের করবে? ভূতে কি ভূত তাড়াতে পারবে?
মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী
দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রবক্তা ও প্রতিষ্ঠাতাবাংলাদেশ ঐক্য পার্টি।
আপনার মতামত লিখুন :