।। সৈয়দ উবায়দুর রহমান শরিফ।।
.
ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন কাল ১২ রবিউল আউয়াল।
ইসলামী মতে আজ বাদমাগরিব থেকে সেই হিসাব শুরু।
.
সৌদি আরবের মক্কা নগরের বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন আব্দুল্লাহ ও মাতার নাম আমেনা। নবুয়াত লাভের পর বিশ্বমানবতার মুক্তির অকাট্য দলিল সর্বশ্রেষ্ট ও সর্ব শেষ আসমানী কিতাব পবিত্র আল-কুরআন তাঁর উপর নাযিল হয়েছিলো। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে অর্থাৎ ৬৩ বছরের কালেই তিনি মদীনাতে ইহলোক ত্যাগ করেন এবং এখানেই তাঁর পবিত্র রওজা মোবারক বিদ্যমান। বাংলাদেশে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত।
১২ রবিউল আউয়ালকে বিশ্ব মুসলিমের জন্য এক অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহতায়ালা।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর এই খ্যাতি ছিলো ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার জন্য। তাঁর মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদ্গুণ যথা: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা,শান্তিবাদিতা ইত্যাদি। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি সু-কর্মময়তাও ছিল তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মহামানব হিসেবে তিনি সর্ব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।
ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়
মন্তব্য করুন