সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দরিদ্র পরিবারের সন্তান হাফিজ মুহিবুল্লাহ কয়েক মাস পুর্বে টিভির ক্যামেরার সামনে কথা বলেছিলেন। পরবর্তীতে হাসপাতালে মাত্র ৫ হাজার টাকার বেতনে চতুর্থ শ্রেণীর খন্ডকালীন চাকুরি পান তিনি। গত দুই মাস ধরে নিয়মিত চাকুরি করছেন সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে। গত তিন দিন পূর্বে এসএটিভিতে হাসপাতালের ডাক্তাররা নিয়মিত চেম্বারে না বসে প্রাইভেট চেম্বারে রোগি দেখায় ব্যস্ত শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে, দুর্ভাগ্যবশত হাফিজ মুহিবুল্লার দেয়া বক্তব্যটি পুনরায় অন-এয়ার হয়। এ কারনে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আনিসুর রহমান তাকে ডেকে নিয়ে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেন।
অসহায় ও চাকুরীচ্যুৎ হাফিজ মুহিবুল্লাহ কোন উপায় না দেখে সাংবাদিকদের কান্না জড়িত কন্ঠে বিষয়টি অবহতি করেন। তার বক্তব্যটি চলতি সময়ের নয় বলে স্থানিয় সাংবাদিকদের কাছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তার চাকুরীটি পুণ:বহালের অনুরোধ করেন। তাৎক্ষণিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: আনিসুর রহমানকে মোবাইলে ফোন কয়েকবার ফোন কল দিলে তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন। চাকুরীচ্যুত হাফিজ মুহিবুল্লাহ সুনামগঞ্জ সরকারী কলোনী জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন’র পুত্র। মুহিবুল্লাহ বলেন, আমি দরিদ্র পিতার সন্তান। আমার বাবা মসজিদে মোয়াজ্জিনের চাকুরী করে আমাদেরকে পড়াশুনা করিয়েছেন। ভাল চাকুরী না পাওয়ায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে খন্ডকালীন চাকুরী গ্রহন করে কোন রকম জীবন জীবিকা নির্বাহ করতাম। আমি গেল বছরের ডিসেম্বর মাসে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে এসএ টিভির ক্যামেরায় কথা বলেছিলাম। গত দুই মাস ধরে আমি হাসপাতালে খন্ডকালীন চাকুরী গ্রহন করে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। গত শুক্রবারে আমার কথাগুলো এসএ টেলিভিশনে আবারো প্রচারিত হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা: আনিসুর রহমান স্যার আমাকে ডেকে নিয়ে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম স্যার আমি গত বছর এসব কথা বলেছিলাম। ইদানিং বলিনাই কিন্তু স্যার আমার কথা শুনছেন না। আমি খুব অসহায়ত্বের মধ্যে আছি। চাকুরী না থাকলে আমার বাবার একার পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা: আনিসুর রহমান বলেন, এই গুলাতো অনেক কিছুই হয়। ফোনে এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে রাজিনা। প্লীজ আমাকে আর হাসপাতালের এ বিষয়ে জিজ্ঞাস করবেন না বলেই ফোন লাইন কেটে দেন।
সিভিল সার্জন ডা: সামসুদ্দিনের মোবাই ফোনে কয়েকরার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
মন্তব্য করুন