বুধবার বিএনপি মহাসচিব বলেন, “করোনা মোকাবিলায় আজকে এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে আজকে টিকা প্রদানে ম্যানেজমেন্টের প্রচণ্ড রকমের যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, সেই নৈরাজ্যের কারণে গোটা জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা পত্রপত্রিকায় তা দেখতে পাচ্ছি।”
লকডাউন তুলে নেয়া ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি প্রথম থেকে বলছি, আসলে করোনা মোকাবিলায় সরকারের টোটাল ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থ হয়েছে। “অপরিকল্পিত লকডাউন, অপরিকল্পিত টিকা ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত মানুষের জীবন ব্যবস্থা সব মিলিয়ে এই সরকারের আর এক মুহূর্ত ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।”
এর আগে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব নেতাকর্মীদের নিয়ে বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা জানান।
এই সময় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের ফজলুল রহমান খোকনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো। পরে ২৮ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদের আয়োজন ছিল। বিএনপি নেতাদের মধ্যে আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়েও মিলাদের কর্মসূচি রয়েছে।
মন্তব্য করুন