মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের একটি ’ব্র্যান্ড নেইম’ তৈরি করা যে, আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, এটা সম্ভাবনাময় ভূমি, কর্মচঞ্চল অর্থনীতি।”
জাতীয় শোক দিবসে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর উপর প্রদর্শনীকে সামনে রেখে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানে এ বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১৫ অগাস্ট প্রথম প্রহর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা টাইমস স্কয়ারের বলড্রপ বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উপস্থাপনা করা হবে। দুই মিনিটে একবার করে দেখানো হবে এই উপস্থাপনা।
ফাহিম ফিরোজ নামে এক প্রবাসীর এ উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এই উদ্যোগে ইতোমধ্যে ২৫ হাজার ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে ওই প্রদর্শনীর জন্য ৫০ লাখ টাকার চেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে তুলে দেয় আনোয়ার গ্রুপ ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে ওই প্রদর্শনীর জন্য ৫০ লাখ টাকার চেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে তুলে দেয় আনোয়ার গ্রুপ ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের উপর প্রদর্শনীর মত কর্মসূচি থেকে দেশের ’ব্র্যান্ডিংয়ের’ বড় সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের দেশের বিনিয়োগ বাড়াতে চাই, রপ্তানি বাড়াতে চাই ও বহুমুখী করতে চাই। আমাদের বেশি লাভজনক কর্মসংস্থান বাড়াতে চাই।
”সবচেয়ে বড় সম্পদ মানবসম্পদ, দেশে-বিদেশে তাদের আরও চাকরি চাই। দেশে চাকরি হবে, যদি ইন্ডাস্ট্রি হয়, বিনিয়োগ হয়। সেজন্য আমরা একটি প্যাকেজ ডিজাইন করেছি, তার নাম ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি প্যাকেজ।”
এ বিষয়ে প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মোমেন বলেন, “আমি মন্ত্রী হিসাবে গিয়ে অর্জনের কথা বললে, কেউ বিশ্বাস করবে, কেউ করবে না। তবে, ওদেশে যারা নিজের কারণে প্রতিষ্ঠিত, যেমন জেনারেল ইলেকট্রনিক্সের সিইও, উনি যদি বলেন, বাংলাদেশে রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট অনেক বেশি, এই এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি- তাহলে সবাই না হোক, বেশিরভাগ লোকজনই বেশি বিশ্বাস করবে।”
আনোয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেন মেহমুদ ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার হামিদ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে সহায়তার চেক তুলে দেন।
মন্তব্য করুন