কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ শমশেরনগর বাজারটি স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই জেলার অন্যতম ব্যবসায়িক জোন হিসাবে পরিচিত। তবে বাজারটিতে ময়লা-আবর্জনা, ড্রেনেজ সমস্যা এবং কোন সিটিজেন চার্টার না টাঙ্গিয়ে ইচ্ছে মতো দৈনিক মুঠি আদায়সহ বাজার ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সাত দিনের মধ্যে বাজারের দর্শনীয় স্থানে সিটিজেন চার্টার স্থাপনে বাজার ইজারাদারকে নোটিশ প্রেরন করেছেন শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক।
জানা যায়, শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিট, বিএএফ শাহীন কলেজ, রেলস্টেশন, পোস্ট অফিস, বাংলাদেশ ও ভারতের কৈলাশহরে আমদানী-রপ্তানী রুটসহ নানা কারনে কমলগঞ্জের জনগুরুত্বপূর্ণ শমশেরনগর বাজার। প্রতি বছর প্রায় অর্ধকোটি টাকায় বাজার ইজারা প্রদান করা হয় এবং ইজারার ১৫ শতাংশ টাকা বাজার উন্নয়নের কাজে বরাদ্ধ থাকে। তবে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ইজারাদার এব্যাপারে কর্ণপাত করেনি। ভেতর বাজারের কাঁচাবাজারে শেড ঘরগুলোর নাজুক অবস্থা। বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নাজুক। বাজারটিতে হাজারো মানুষের সমাগম হলেও পয়নিস্কাশনের কোন সুব্যবস্থা নেই। বাজার ইজারাদার কোন সিটিজেন চার্টার না টাঙ্গিয়ে ইচ্ছেমতো মুঠি আদায় করছেন। ময়লা, আবর্জনা পরিস্কারেও কোন উদ্যোগ নেই।
বাজারের মাছ ও শুটকী ব্যবসায়ীরা বলেন, তারা দোকান প্রতি ২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত দৈনিক মুঠি প্রদান করেন। তবে তাদের কোন রসিদ দেয়া হয়না। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে মুঠি দিয়ে তারা ব্যবসা করছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও অভিযোগ করেন মুঠি আদায়ের নির্দিষ্ট তালিকা নেই। একবস্তা লেবু বিক্রি করলে তারা একশ’ টাকা মুঠি আদায় করে নেন। এটি ঠিক নয়।
স্থানীয় সমাজকর্মী এনামুল হক শামীম বলেন, বাজারে কোন সিটিজেন চার্টার নেই। ইজারাদার নিজের ইচ্ছেমতো মুঠি আদায় করে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। যে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০টাকা মুটি আদায় করার কথা সেখানে ৫০ থেকে ৬০টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে বাজার ইজারাদারকে বার বার মৌখিকভাবে তাগিদ দেয়ার পরও কোন সিটিজেন চার্টার স্থাপন না করায় গত ২ সেপ্টেম্বর শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক জনস্বার্থে সাত দিনের মধ্যে বাজারের দর্শনীয় স্থানসমুহে সিটিজেন চার্টার স্থাপনে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
তবে অভিযোগ বিষয়ে শমশেরনগর বাজার ইজারাদার মো. আশাই মিয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের লিখিত চিঠি পেয়ে গরু বাজারে সিটিজেন চার্টার স্থাপন করেছেন। অন্যান্য স্থানেও স্থাপন করা হবে। তবে কোন বাড়তি টাকা আদায় করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
এব্যাপারে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা আইসিটি অফিসার মো. রফিকুল হক বলেন, সাত দিনের মধ্যে বাজারের দর্শনীয় স্থান সমুহে সিটিজেন চার্টার স্থাপন করা না হলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :