হবিগঞ্জে গ্রাফটিং টমেটো চাষ করে লাভবান কৃষক


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন /
হবিগঞ্জে গ্রাফটিং টমেটো চাষ করে লাভবান কৃষক
নুরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে। 
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিন কৃষক। তারা হলেন- মোঃ রুহুল আমিন মানিক মিয়া, মো. হানিফ মিয়া এবং মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। পৃথকভাবে প্রায় ৫০ শতক জমিতে ‘সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার)’ ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় তাঁরা টমেটো চাষ করেন। তাদের সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই গ্রাফটিং টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
চাষে মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। খেতে প্রয়োগ করা হয়েছে জৈব বালাইনাশক, যার ফলে উৎপাদিত টমেটোগুলো বিষমুক্ত। এই টমেটো স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা এই টমেটো কিনে শহরের বাজারে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
কৃষক মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া, মো. হানিফ মিয়া এবং মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তারা মৌলভীবাজার থেকে প্রতি পিস ১০ টাকা দরে গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের চারা সংগ্রহ করেন। জুন মাসের শেষ দিকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার চারা রোপণ করেন। জুলাই মাসের শেষ থেকে টমেটো বিক্রি শুরু হয়। এই জাতের টমেটো চাষে তাঁরা সফলতা পান।
ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় তারা সারসহ বিভিন্ন উপকরণ পেয়েছেন। প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে চাষ করে দেড় লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে। আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই জাতের টমেটো চাষের পরিকল্পনা নিচ্ছেন তারা।
এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, সঠিক পরিকল্পনায় ফসল চাষ করলে লাভবান হওয়া সম্ভব। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করে এই তিন কৃষক সফল হয়েছেন। তাই তারাও এখন এই জাতের টমেটো চাষে আগ্রহী।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, রাঘপাশা গ্রামে প্রথমবারের মতো সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার) ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় মালচিং পেপার ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং টমেটো চাষ শুরু করেন কৃষক মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তিনি সফল হওয়ায় পরবর্তী মৌসুমে আরও দুই কৃষক মো. হানিফ মিয়া ও মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এই চাষে অংশগ্রহণ করেন এবং তারাও লাভবান হন।
তিনি আরও বলেন, কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে গাছের শিকড় শক্ত হয়, ফলে অতিরিক্ত পানির কারণে শিকড় নষ্ট হয় না। বাহুবল উপজেলায় আগে এই জাতের টমেটোর চাষ তেমন দেখা যেত না, তবে এখন কৃষকরা আগ্রহ নিয়ে এই চাষ শুরু করছেন।