নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে।।
আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আলোচিত ৬নং কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত হন বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলী আহমদ মুসা। দলীয় প্রধানের চিঠি পাওয়ার সাথে সাথে ০১ নভেম্বর তড়িঘড়ি করে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে ওইদিন রাতেই যুক্তরাজ্য চলে যান মুসা। ফলে তার সাথে প্রধান প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান বর্তমানে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুসার এভাবে নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে লন্ডন চলে যাওয়ার ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে যেমনি দেখা দিয়েছে চরম হতাশা তেমনি নবীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র চলছে নানান গুঞ্জন। নির্বাচনের আগে তিনি দেশে ফিরবেন কি না তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্হানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা জানান, এবারের নির্বাচনে তার সমন্ধি অপর লন্ডন প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আব্দুল মুকিতও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। আর এর ফলে তার পারিবারিক চাপেই মূলত মুসা তড়িঘড়ি লন্ডন চলে গেছেন। সেখানে তার পরিবারের লোকজনদের বুঝানোর চেষ্টা করছেন। মুসা নির্বাচনের আগে দেশে ফিরবেন কি না সে ব্যাপারে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। তবে মুসার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে আগামী ১২ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে নবীগঞ্জের ইতিহাসে এই প্রথম কোন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে দেশের বাহিরে গেলেন।
কুর্শি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসা নির্বাচনী মাঠে এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছেন। তাকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। নৌকা পেয়ে যেখানে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে নৌকার প্রার্থীদের সেখানে তার সাথে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী তার সমন্ধি আব্দুল মুকিতকে ছাড় দিতে না কি অন্য কোন কারণে লন্ডন চলে গেছেন এ নিয়ে তোলপাড় চলছে নবীগঞ্জের সর্বত্র।
এবারের নির্বাচনে ১১ টি ইউনিয়নে ১৩ জন মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। সব মিলিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীরা নৌকা পেয়েও অসস্তিতে আছেন।
মন্তব্য করুন