হবিগঞ্জে নিউ লাইফ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টার সিলগালা দুইজনের কারাদণ্ড
দ্যা সিলেট পোস্ট
প্রকাশের সময় : মে ১৯, ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন /
০
নুরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ শহরের আধুনিক সদর হাসপাতাল এলাকা সংলগ্ন নিউ লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি লিলি চৌধুরী নামে কর্মচারিকে ১০ দিনের ও মালিকের ছেলে আজিজুল মিয়াকে ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রবিবার(১৮ মে) দুপুরে এই অভিযান করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উল্লাহ।
তিনি জানান, সদর আধুনিক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই, প্যাথলজিস্ট নেই, রেইট চার্ট নেই। এসব অনিয়মের অভিযোগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন সেনাবাহিনী ও সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম।
অভিযোগ রয়েছে, এসব ডায়গনস্টিকে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া টাকার বিনিময়ে ভূয়া এক্সরে রিপোর্ট দিয়ে থাকেন এসব প্রতিষ্ঠান। এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে গুলো সিংহভাগই দালাল নির্ভরশীল। দালালরা গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল রোগীদের তাদেও নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে ওত পেতে বসে থাকেন। পরে তাদেও কাছ থেকে চিকিৎসার নামে আদায় করা হয় অতিরিক্ত টাকা।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জে ১৩১টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ৮৮টি চিকিৎসা কেন্দ্রের লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৪৩টির নেই বৈধ কাগজপত্র। এরমধ্যে হবিগঞ্জ সদরেই রয়েছে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান বাকি ৮ উপজেলায় রয়েছে ৭৭টি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার। এদের বিরোদ্ধে মাঝে মধ্যে প্রশাসনের অভিযান হলেও অভিযান শেষে তাদের অবস্থান বরাবরই চলে যায়।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ তিন-চার বছর আগেই শেষ হয়েছে, কেউ তা নবায়ন পর্যন্ত করেনি। তবু সেসব হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে প্রকাশ্যে, সবার চোখের সামনে। তাদের চিকিৎসা বাণিজ্যও চলছে পাল্লা দিয়েই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো নিবন্ধন না নিয়ে কোথাও কোথাও শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়েও অসাধু ব্যবসায়ীরা চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ লাইসেন্সের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদনকরেই যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে তুলছেন। অবৈধ ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগ বরাবরই উদাসীন।
আপনার মতামত লিখুন :