মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী
নানা মত ও ধর্মের লোকদের ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে আসন্ন ক্ষতি থেকে বাঁচিয়ে মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে চার বছরেরও বেশী সময় পূর্বে (৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১) বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি গঠন করা হয়।
ঐক্য পার্টি ঐক্য চায়। ঐক্য ছাড়া উন্নত দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব নয়। নানা মত ও ধর্মের কোনো দেশে একজনের ধর্ম কিংবা মত অন্য জনের উপর চাপিয়ে দিয়ে ঐক্য গড়তে চাইলে ঐক্য না হয়ে মতাদর্শিক সংঘাত শুরু হবেই। সবার মাঝে যা কমন-তা নিয়ে যদি ঐক্যের চেষ্টা করা হয় তাহলেই কেবল ঐক্য সম্ভব। আর তাই বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি সকল মতপার্থক্য অক্ষুন্ন রেখে সবার মাঝে যা কমন তথা সর্বজনীন বিষয়ে ঐক্যের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে প্রায় সব মতের ব্যক্তিদের রাখা জরুরি। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি শুরু থেকে তা অনুসরণ করে আসছে।
ঐক্যের জন্য আরো কিছু বাধা আছে আর তা হলো সংকীর্ণতা, অস্বচ্ছতা কিংবা গোপনীয়তা, অহংকার বা আমিত্ব, লোভ, পরমত অসহিষ্ণুতা, আতংক, ক্ষমাশীলতার অভাব, অন্যায়কে প্রশ্রয়, যোগ্য-অযোগ্য যাচাই না করে পরিচিতদের অগ্রাধিকার ইত্যাদি। উপরোক্ত সমস্যাগুলোও এড়ানো সম্ভব না হলে ঐক্য সম্ভব নয়। উপরোক্ত বিষয়গুলোসহ আরো নানাবিধ ঐক্য বিনষ্টকারী সমস্যার বিষয়ে শতভাগ সতর্ক হয়ে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
দেশব্যাপী পরিচিত কিংবা জনপ্রিয় কারো মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে দেশবাসীর নিকট বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র ফর্মূলা উপস্থাপন করা গেলে দেশের সব জনগণের সম্যক উপলব্ধিতে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র ফর্মূলা এসে যাবে। তখন চরম স্বার্থপর ও দেশপ্রেমহীন বিশ্বাসঘাতকরা ব্যতিত দেশের আপামর জনসাধারণ সাময়িক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির পতাকা তলে সাময়িক সময়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নত দেশে রূপান্তরের টেকসই ট্র্যাকে উঠিয়ে দিবে-এ ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি সর্বজনীন যে ফর্মূলা গ্রহণ করেছে, সেটা গ্রহণ করা না হলে প্রিয় মাতৃভূমিকে কখনো উন্নত দেশে রূপান্তর সম্ভব হবেনা। তাই উক্ত ফর্মূলা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে আপামর জনসাধারণসহ দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে আহবান জানিয়ে আসছি। শেখ হাসিনা ও তারেক জিয়ার নিকট আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শসহ খোলা চিঠিও দেওয়া হয়েছিল, যা বিভিন্ন পত্রিকায় ২০২৩ সালে ছাপা হয়েছিল।
“বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ফর্মূলা বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি ছাড়া কারো নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করা যাবেনা।”-এরকম মানসিকতা আমাদের নেই। আমাদের নেতৃত্বে কিংবা আমাদের সিস্টেম অনুসরণ করে যে কারো নেতৃত্বে (মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত কিংবা অন্য কোনো দল বা ব্যক্তি দ্বারা) বাস্তবায়ন হোক-দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এমনটাই চাই।
জাতীয় ঐক্য নিয়ে বিএনপি, জামায়াত, ড. ইউনুসসহ আরো বিভিন্ন দল ও ব্যক্তির পূর্বাপর বক্তব্য শুনলে তাতে তাদের পূর্বের ও পরের বক্তব্যে ভিন্নতা পাওয়া যায়। জাতীয় ঐক্যের পক্ষে বলা বক্তব্য থেকে একবার সরে আসে তো আরেকবার সংকীর্ণতা পরিহার করে ঐক্যের কথা বলে। তাদের মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতা তথা দ্বিধাবিভক্তি কাজ করছে। এর কারণ কেউ খুশী বা নাখুশী হলো কিনা কিংবা কোনো পক্ষের প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে, তাদের বক্তব্যের পরিবর্তন। দেশের স্বার্থে যে বা যারা ঐক্যের পক্ষে কথা বলবেন, তাদের মাঝে এরকম দোদুল্যমানতা থাকা উচিত নয়।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির বক্তব্য হলো কে খুশী কিংবা নাখুশী এসব চিন্তা না করে দেশের স্বার্থে যথাযথ যেটা, সেটাতে অটল থাকতে হবে।
আওয়ামীলীগ চরম ফ্যাসীবাদী কায়দায় দেশ চালিয়েছিল। পুরো দেশকেই তারা মজলুমে পরিণত করেছিলো। আর তাই এই ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের ঐক্যে রাখা যাবেনা এরকম চিন্তা আবার বিপরীতভাবে চার কোটিরও বেশী আওয়ামীলীগকে বাদ দিয়ে কি জাতীয় ঐক্য সম্ভব, এসব চিন্তা করে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দল দ্বিধাবোধ করছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশকে এগিয়ে নিতে বিভেদের রাজনীতি বন্ধসহ জাতীয় ঐক্যের বিকল্প না থাকায় শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে শুধু ছেড়েই দেননি, তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আল-শামস বাহিনীর দালালদেরও জেলখানা থেকে মুক্ত করে দেন। ঘোষণা করেন সাধারণ ক্ষমা। শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ২য় বার্ষিকীতে জেল থেকে মুক্তি দেন ৩০ হাজার দালালকে। তিনি ঘোষণা করেন, জনগণ যাতে ৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুনভাবে দেশ গঠন শুরু করে, সেটাই তিনি চান। শেখ মুজিব আরো বলেন, ‘বাংলাদেশীরা জানে কীভাবে ক্ষমা করতে হয়।’ এ ঘোষণার পরপরই তাঁর আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করেন একাত্তরের প্রধান বেসামরিক যুদ্ধাপরাধী জুলফিকার আলী ভুট্টো। তাঁকে দেয়া হয় রাজকীয় সম্মান। এর আগে ১৯৭৪ এর ২৩ ফেব্রুয়ারী তিনি পাকিস্তানের লাহোরে গিয়েছিলেন ওআইসি’র সম্মেলনে যোগ দিতে। লাহোর বিমানবন্দরে তার সঙ্গে কোলাকুলি করেন ভুট্টো। তাঁকে জানানো হয় সামরিক অভিবাদন। একাত্তরে গণহত্যার নেতৃত্বদানকারী নরপিশাচ জেনারেল টিক্কা খান শেখ মুজিবকে স্যালুট করেন। টিক্কা খানের স্যালুট নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান তার সঙ্গে করমর্দন করেন। ওআইসি’র সম্মেলন শুরুর দিন সম্মেলন মঞ্চে শেখ মুজিব ভুট্টোর গালে প্রকাশ্যে চুমু খান। লাহোর থেকে ঢাকায় ফিরে এসে ইন্ডিয়ান সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘১৯৭১ সালে যা হয়েছিল তা ভুলে যাওয়া দরকার।’ কলকাতার ইংরেজি দৈনিক স্টেটসম্যানে সাক্ষাতকারটি ছাপা হয়েছিল। এভাবেই শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।
জাতীয় ঐক্যের পক্ষে যুগান্তকারী এরকম সিদ্ধান্ত শেখ মুজিবুর রহমান নিলেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে পরবর্তীতে তিনি চরম স্বৈরাচারী হয়ে উঠায় দেশে চরম অসন্তোষ ও বিভক্তি শুরু হয়ে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সৃষ্টি হয়।
শেখ মুজিব স্বৈরাচারী না হয়ে যদি ন্যায়পরায়ণ শাসক হতেন তাহলে তাঁর জাতীয় ঐক্যের চেষ্টা সফল হয়ে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বে পরিণত হওয়ার ট্র্যাকে তাঁর সময়ে উঠে যেত।
পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ায় তাঁর সাড়ে তিন বছরে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। আসলে ঐক্যই মুক্তি, উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
বর্তমানে ড. ইউনুস সরকার তাঁর যোগ্যতার সমান তথা আশানুরূপ উন্নয়ন করতে না পারলেও যা উন্নয়ন করছেন সামগ্রিক জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে সেসব উন্নয়ন টেকসই না হয়ে ভবিষ্যতে দেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। আর তাই উন্নয়নের পাশাপাশি ড. ইউনুসকে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সর্বজনীন জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
প্রশাসনে কর্মরতরাসহ দেশের প্রায় ৫/৬ কোটি মানুষের মধ্যে বেশ আর কম আতংক বিরাজ করছে। এই সুযোগে স্বার্থান্বেষী মহল তাদের থেকে চাঁদা আদায় করছে। ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যায়িত করে কোন আপদ তাদের উপর নেমে আসে, এই ভয়ে এবং নৈতিকভাবে দুর্বল থাকায় তারা চাঁদা দিয়ে দিচ্ছেন। আর সাধারণ ক্ষমা পেলে মনোবল ফিরে পেয়ে চাঁদা না দিয়ে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। অন্যদিকে স্বার্থান্বেষী মহল চাঁদা নেওয়ার সুযোগ পাবেনা। তাই যাদেরকে বিচারের আওতায় না আনলে নয়, তাদের তালিকা শীঘ্রই প্রকাশপূর্বক বাকি সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি। তবে রাষ্ট্রীয় ইন্ধন ব্যতীত ক্ষতিগ্রস্থ কেউ স্ব উদ্যোগে মামলা করলে তাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা যাবেনা।
আতংকমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবেনা আর জাতীয় ঐক্য সম্ভব না হলে প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নত দেশে রূপান্তর করাও সম্ভব হবে না। প্রশাসনে কর্মরত প্রায় সবাই বেশ আর কম ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে অনৈতিক কাজ করেছিলো অন্যদিকে ২৪ এ যেভাবে শিক্ষার্থী-জনতা ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছিলো ঠিক সেইভাবে ১২/১৩ বছর পূর্বে যখন ফ্যাসিবাদের একটু একটু আলামত দেখা যাচ্ছিল, তখন সোচ্চার হলে শেখ হাসিনা ফ্যাসীবাদী হওয়ার সুযোগ পেতোনা এবং দেশের এতো ক্ষতিও হতো না। আমরা দেশবাসী রাজনৈতিকভাবে তেমন সচেতন নই বলে দেশে বারবার স্বৈরশাসক সৃষ্টি হয়ে আসছে। আর তাই আমরাও দায় এড়াতে পারিনা। উন্নত দেশগুলোর জনগণ সচেতন বলেই তাদের দেশে উন্নয়ন হওয়ার পাশাপাশি ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হয়না। এখন আমাদেরকে শপথ নিতে হবে যে, এখন থেকে আমরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকবো। ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতির সামান্য লক্ষণ যে দল কিংবা ব্যক্তির মধ্যে দেখা যাবে, আমরা প্রতিবাদ জানাতে বিলম্ব করবোনা। তাহলেই বাংলাদেশ পথ হারাবেনা।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐক্য গড়তে হলে সাধারণ ক্ষমার কোনো বিকল্প নেই। দুই কোটির মতো জামায়াতের লোককে নিশ্চিহ্ন করতে গিয়ে শেখ হাসিনা দেশের ১২টা বাজিয়েছিল, সে জায়গায় চার কোটির মতো আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার অসম্ভব চেষ্টা যারা করতে চায়, তাদের দ্বারাও দেশের ক্ষতি ছাড়া মঙ্গল হবেনা। অতীত অপরাধের কারণে দল হিসেবে আওয়ামীলীগকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা করা কিংবা না করাতে আমাদের আপত্তি নেই তবে চার কোটি আওয়ামীলীগের মধ্যে যাদেরকে বিচারের আওতায় না আনলে নয়, তাদের নাম ঘোষণা দিয়ে বাকী সব আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসরকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হোক- দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই দাবি আমাদের পক্ষ থেকে রইল। তবে পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের কেউ পূর্বের মতো দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে পূর্বের অপরাধের কথা বিবেচনায় এনে ডাবল শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দেশে অন্য কেউ যাতে অপরাধ করতে না পারে, সে ব্যাপারেও জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।
যাদের বিচার না করলেই নয়, তাদেরকে বাদ দিয়ে বাকী সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে দেশ আতংকমুক্ত হয়ে যাবে। এতে করে শিল্পকারখানাসহ সবক্ষেত্রে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে তা তিরোহিত হয়ে ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্পে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না থাকলে এতো বড় বড় অপরাধী কি সৃষ্টি হতো? আর তাই সবার আগে শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধের মূলকে নিশ্চিহ্ন না করে কঞ্চি, ডাল, পাতা, ফুল ও ফলকে নিশ্চিহ্ন করলে অপরাধী আবার সৃষ্টি হবে আর তাই অপরাধের মূলকে সবার আগে উৎপাটন চাই। সাথে সাথে দেশের জনগণ তথা আমাদের মাঝে একটিভ কিংবা প্যাসিভ অপরাধ করার যে প্রবণতা রয়েছে, তা দূরীকরণে আমাদের চেতনার সংস্কারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
ড. ইউনুস অনেক ক্ষেত্রে সফল হলেও আরো অনেক ক্ষেত্রে সহজে সফল হওয়ার সুযোগ থাকলেও তিনি তা করছেন না-তাতে আমাদের আপত্তি। সহজে করা যায় সেসব বিষয়গুলো লিখিত আকারে (০৪/১১/২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে আমার ও লে. কর্ণেল (অব.) আবু ইউসুফ যোবায়ের উল্লাহ, পিএসসি’র যৌথ স্বাক্ষরে) আমরা ড. ইউনুসের বরাবরে জমা দিয়েছিলাম।
মাহাথির মোহাম্মদ কিংবা লি কুয়ান ইউ এর চেয়ে যোগ্যতায় আমাদের ড. ইউনূস কোনো অংশে কম নয় বরং অনেক বেশী। আর তাই তাঁর থেকে আমরা তাঁর যোগ্যতার সমান সফলতা আশা করছি।
লেখক: দেশীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রবক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি।
আপনার মতামত লিখুন :