নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে।হবিগঞ্জ শহরতলীর ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় সিগারেটের ধোয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে পিকআপ ও মোটর সাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর, ইট পাটকেল নিক্ষেপে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত মাস্টার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় বসে মাস্টার বাড়ির আলমগীর, সেলিম ও মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের লোকজন। খেলা চলাচলে একটি পক্ষ সিগারেটের ধোয়া ছাড়ে। এ নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাস্টার বাড়ির আলমগীর, সেলিম ও তানভীর এবং মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে। দেড় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপে পিকআপ ও মোটর সাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সদর থানার এসআই আবু জাবেরসহ ৭ পুলিশ এবং শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবিনা আক্তার (৩০), আব্দুল শহিদ (৪৫), জাবেদ মিয়া (৩০), আল মামুন (৩০), নাজিমুদ্দিন (৩০), সফিক মিয়া (৩৫), এসআই আবু জাবের (৪৪), রবিউল হাসান (১৯), শিমুল (২৫), মিজবাহুল হাসান (১৮), ফখরুল ইসলাম (১৮), রাজু মিয়া (৩৬), শরীফুল মিয়া (২৮), আনোয়ার (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (২৬), উজ্জ্বল মিয়া (১৭), শামসুর রহমান (৩৫) ও মিতু মিয়া (২৫) কে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। এ সময় তিনি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনকে সহয়তা করেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, ‘কেরাম খেলায় সিগারেটের ধোঁয়া ছড়ানোকে কেন্দ্র করে মাস্টার বাড়ি ও মোল্লাবাড়ির লোকজনের সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দাঙ্গাবাজদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।
মন্তব্য করুন