নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে।।
হবিগঞ্জে ছয়টি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকের ১১৬টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উল্লেখিত স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই। ঐ স্কুলগুলোর মোট ২০৪টি শিক্ষক পদের মধ্যে ১১৬টিই শূন্য থাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। গত মাসের শেষের দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটে পাঠানো শূন্য পদের তালিকা থেকে শিক্ষকসংকটের এই চিত্র পাওয়া গেছে।
১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকের সৃষ্ট পদের সংখ্যা ৫২। সিনিয়র ও সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন ২৬ জন। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন শেখ আলফাজ উদ্দিন। দুই জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের স্থলে আছেন এক জন। সিনিয়র শিক্ষকের ২৪টি পদে কর্মরত আছেন ১৪ জন। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের সংকট হিসেবে দেখা যায় বাংলায় ছয়, ইংরেজিতে দুই, গণিতে দুই, সামজিক বিজ্ঞানে দুই, ধর্মে এক, ভৌতবিজ্ঞানে (ফিজিক্স ও কেমেস্ট্রি) দুই, জীববিজ্ঞানে তিন, শারীরিক শিক্ষায় এক জনের পদ শূন্য রয়েছে। ভূগোল, চারুকলা ও কৃষি বিষয়ে কোনো শিক্ষকই নেই।
হবিগঞ্জ বিকেজিসি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, দুটি সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৫২টি পদের মধ্যে ২৩টি শূন্য। এর মধ্যে ২৪ জন সিনিয়র শিক্ষকের মধ্যে ১৬ জন কর্মরত আছেন। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলেও দুই শিফটে মোট ১ হাজার ৮৯১ জন ছাত্রী রয়েছে। বাংলায় আট জন, ভুগোলে দুই জন, গার্হস্থ্যবিজ্ঞানে এক জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও এক জনও নেই। ইংরেজিতে দুটি, গণিতে একটি, সামাজিক বিজ্ঞানে দুটি, ভৌত বিজ্ঞানে একটি, ব্যবসায় শিক্ষায় দুটি, শারীরিক শিক্ষায় একটি শিক্ষক পদ শূন্য আছে। বানিয়াচং সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২৫ জন শিক্ষকের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র তিন জন। প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ আনজব আলী। বাংলা, গণিত, ইসলাম ধর্মে একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, ভূগোল, কৃষি শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা, চারুকলা বিভাগে সব শিক্ষকের পদ শূন্য। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে প্রায় ৬০০ ছাত্রী রয়েছে।
মন্তব্য করুন