আব্দুল জলিল, (যশোর)প্রতিনিধিঃ বেনাপোল স্থল বন্দর চেকপোষ্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে সরকারের রাজস্ব ও বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিন করোনার দাপটে আতঙ্ক থাকায় ভারত বাংলাদেশ উভয় দেশের সরকার কয়েক দফা বন্ধ করে দেয় যাত্রী চলাচল। ফলে বন্দর নগরী বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় জনসমাগম না থাকায় নিস্তেস হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় সরগম হয়ে উঠেছে এই আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট। প্রায় দুই বছর যাবৎ এ পথে যাত্রী পারাপার বিশেষ ভিসা ছাড়া গমনাগমন ছিল নিশিদ্ধ। গত এক সপ্তায় ভারত বহির্গমন ও আন্তগমন এ যাতায়াত করেছে ৮৯৭৪ জন। সেই সাথে বগিরাগতদের ও উৎপাত কমেছে নতুন ইমিগ্রেশন ওসি যোগদান করার পর।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সুত্র জানায় দীর্ঘদিন করোনা আতঙ্কে দ্ইু দেশের পাসপোর্ট যাত্রী বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি মেডিকেল, ইম্পল্লায়ার যাত্রী চলাচলের অনুমতি মেলার পরও যাত্রী চলাচল ছিল মাত্র ২ থেকে ৩ শত জন। কারন যাত্রীদের ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী দুতাবাস থেকে অনুমতি পত্র লাগত। এছাড়া বাধ্যতামুলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থাকতে হতো যাত্রীদের নিজ খরছে।
কোয়ারেন্টাইন এর শর্ত তুলে নেওয়ায় এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাই কমিশনের অনুমতি তুলে নেওয়ায় যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। গত ১ অক্টোবর ভারত বাংলাদেশ এর মধ্যে যাতায়াত ছিল ১৩৫৬ জন, ২ অক্টোবর ছিল ১২৬৭ জন, ৩ অক্টোবর ছিল ১১৬৫ জন, ৪ অক্টোবর ছিল ১২৯৯ জন, ৫ অক্টোবর ছিল ১৩৩৫ জন ৬ অক্টোবর ছিল ১২৮৬ জন ও ৭ ই অক্টোবর ছিল ১১৬৫ জন। ট্যুররিষ্ট ভিসা ছাড়লে এ পথে ১০ হাজার এর উপরে যাত্রী চলাচল করবে বলে সুত্র দাবি জানায়।
এছাড়া বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় বগিরাগত লোকের প্রবেশ ও নতুন ওসি মোহাম্মাদ রাজু যোগদান করায় নিশিদ্ধ হওয়ায় ইমিগ্রেশন এর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হওয়ায় যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। বাগেরহাট থেকে আসা স্বপ্না সাহা বলেন এ পথে আগেও যাতায়াত করা হয়েছে। বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় প্রবেশ মুখে বহিরাগত কিছু লোক উৎপাত করত। আজ এ উৎপাত দেখতে পাচ্ছি না। ভালো লাগছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন, এসবি পুলিশ সর্বোচ্চ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করবে। কেউ যাতে এখানে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য কাজ করতে সকল অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইমিমধ্যে বহিরাগত কিছু লোকের প্রবেশ ও আন্তার্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে যাত্রীদের কাজের কথা বলে অর্থ আদয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ সতর্কবস্থায় রয়েছে।
যদি কোন বহিরাগত দালালের উৎপাতের অভিযোগ পাওয়া যায় তাকে আইনের কাছে সপর্দ করা হবে। আমি যোগদান এর পর শুনেছি এ পথে ১০ হাজার এর উপরে যাত্রী চলাচল করেছে। ট্যুরিষ্ট ভিসা ছাড়লে আশা করছি ওই পরিমান যাত্রী যাতায়াত করবে সেই সাথে সরকারেরও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্য করুন