আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ইমরান (২৮) নামে এক যুবককে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে নিজের ভাইকে মারধরের খবর পেয়ে বোন ফাতেমা এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এই ঘটনায় রাজাপুর থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছে রাজাপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর উপজেলার নিজামিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের পুত্র যুবক ইমরান হোসেনকে চোর আখ্যা দেয় একই এলাকার সিদ্দিক বিশ্বাস। এনিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ইমরানের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সিদ্দিক বিশ্বাস, তার স্ত্রী, দুই ছেলে গিয়াস বিশ্বাস, রিফাত বিশ্বাসসহ ৫/৬জনে। এসময় ইমরানকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। ভাইকে মারধরের সংবাদ পেয়ে ফাতেমা ছুটে গেলে তাকে মারধর করে পরিহিত কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। ইমরান গুরুতর আহতাবস্থায় রাজাপুর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানেও প্রতিপক্ষ হামলাকারীরা প্রভাব খাটিয়ে ১দিনের মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগে বাধ্য করে। পরে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহা বিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সেখানেও ঘটে একই ঘটনা। কোন উপায় না পেয়ে ইমরান ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বোন ফাতেমা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই বিশ্রামে আছেন।
আহত ফাতেমা জানান, ভাইকে মারধরের খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে ছাড়িয়ে দিতে চাইলে সিদ্দিক বিশ্বাসের পুত্র গিয়াস আমাকে মারধর করে পড়নের ওড়না ও জামা টেনে ছিড়ে ফেলে।
ফাতেমা আশঙ্কা প্রকাশ করে আরো জানান, আমার ভাই মৃত্যু শয্যায়। তারা গলা চিপে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো।
স্থানীয় শামীম জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরুহলে সিদ্দিক বিশ্বাসের স্ত্রী এসে তাকে জড়িয়ে ধরে। এসময় ফাতেমা এলে সিদ্দিকের পুত্র দুটি ঘুষি দেয়।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন, আমরা উভয়পক্ষ নিয়ে শালিস মিমাংসা করে দেয়ার চেষ্টায় আছি।
বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন সুরু মিয়া জানান, ঘটনার পরে স্থানীয় দুজন গন্যমান্য ব্যক্তিকে বিষয়টি মিমাংসার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান করা সম্ভব হবে।
রাজাপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, নিজামিয়া গ্রামে হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ এসেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
মন্তব্য করুন