তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জের ছাতকের জাউয়াবাজারে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বড়কাপন গ্রামে জাউয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরমুজ আলীর (৬৫) বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, শিক্ষক হরমুজ আলি উনার বাড়ির জমিতে সখের বসে ঘাস লাগিয়েছিলেন। একই গ্রামের দ.বড়কাপনের খোয়াজ আলীর পুত্র গোলাপ মিয়া তার ছাগলের খামারের জন্য সেই ঘাঁস জোড় পূর্বকভাবে কেটে নেয়ায় বাঁধা প্রদান করলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে তার ভাই হোসাইন মিয়া, ওয়াব আলির পূত্র লায়েক ও তাদের পিতাসহ আতর্কিত হামলা চালায়। ফলে গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষক হরমুজ আলীকে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
এদিকে, শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরাও জাউয়াবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন করে। জাউয়া বাজার ডিগ্রি কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক নাজমুল হকের সঞ্চালনায়, বক্তারা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষকের উপর হামলায় জড়িতদের অনিতবিলম্বে গ্রেফতারের জোর দাবী জানায়। তা না হলে কঠোর কর্মসূচীতে যাওয়ার ঘোষনা প্রদান করেন।
মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুকিত, রেজা মিয়া তালুকদার, গনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, জাউয়াবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আছাদুর রহমান, সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহমদ আলী, হিরক মিয়া তালুকদার, লায়েক আহমদ, কবির আহমদ, আলমগীর হোসেন প্রমূখ।
হরমুজ আলীর পূত্র ফয়সল আহমদন জানান, আমার বাবা অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। অবসর নেয়ার পর থেকে গাছ গাছালিসহ সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য বাড়িতে বিভিন্ন কাজ করে অবসর সময় কাটান।
কিন্তু বৃস্পতিবার আমি বাড়িতে না থাকায় গোলাপ মিয়া ও হোসাইন মিয়া জোর পূর্বক বাড়িত ঘাস কেটে নেয়ায় বাঁধা প্রাপ্ত হলে দলবল নিয়ে হামলা চালায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আমি চাই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যেন প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহন আইনের আওতায় আনা হয়।
জাউয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মিছবাহুজ্জান শিলু বলেন, তিনি আমাদের সবার শিক্ষা গুরু। উনার হাতে গড়া ছেলেরা আজ দেশের উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত আছে। এই শিক্ষা গুরুর উপর এমন হামলায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা আশা করবো প্রশাসন যেন হামলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের মুখোমুখি করো।
এব্যাপরে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মন্তব্য করুন