রফিকুল ইসলাম জসিম, বিশেষ প্রতিবেদক
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর বাজারের মণিপুরী মুসলিম পরিবারের কৃতি শিক্ষার্থী তাসনিম আখতার শরমী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করে অনন্য সাফল্যের নজির স্থাপন করেছেন।
তাসনিম সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, চৌহাট্টা থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। এর আগে ২০২৩ সালে জালালাবাদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিলেট থেকে এসএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়ে ধারাবাহিকভাবে তার মেধা ও নিষ্ঠার প্রমাণ দেন।
তাসনিম আখতার শরমী কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর বাজারের বাসিন্দা, বাবা আখতার হুসেন ও মা জহুরা আখতার দম্পতির কন্যা। ছোটবেলা থেকেই তিনি মনোযোগী, পরিশ্রমী ও আত্মবিশ্বাসী শিক্ষার্থী হিসেবে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
নিজের সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় তাসনিম বলেন, আল্লাহর রহমত, নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণাই আমার এই অর্জনের সবচেয়ে বড় শক্তি। ভবিষ্যতে একজন গ্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশের প্রযুক্তি খাতে অবদান রাখতে চাই।
মেয়ের এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মা জহুরা আখতার বলেন, আমার মেয়ের এই অর্জনে আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ছোটবেলা থেকেই সে মনোযোগী, পরিশ্রমী ও আত্মবিশ্বাসী। আমরা সবসময় তাকে নৈতিক শিক্ষা ও সাহস দিয়ে পাশে থেকেছি। ইনশাআল্লাহ, সে আরও বড় কিছু করবে।
শিক্ষাক্ষেত্রের পাশাপাশি তাসনিমের অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে আরও অনেক সম্মাননা। ২০২৩ সালে তিনি লেডি ক্যাডেট হিসেবে বিএনসিসি থেকে বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন। খেলাধুলার ক্ষেত্রেও তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য সাফল্য।
এছাড়া তিনি ইংলিশ অলিম্পিয়াডে ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) থেকে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেছেন। ছোটবেলা থেকেই ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন।
তাসনিম আখতার শরমীর এই সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও এলাকাবাসী গর্বিত। সবাই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন। এই কৃতিত্ব কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং মণিপুরী মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষাক্ষেত্রে সম্ভাবনা ও অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :