শাল্লায় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১২, ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন /
শাল্লায় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

হাবিবুর রহমান হাবিব, শাল্লা (সুনামগঞ্জ) থেকেঃ 

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা সনাতনী নাগরিক সমাজের আয়োজনে ১১ আগস্ট রবিবার শাল্লা উপজেলা সদরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজারো লোকজন সমাগম হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগ সহ হিন্দু মা-বোনদের নির্যাতন এবং হত্যার প্রতিবাদে, জাগরে  জাগ- হিন্দু জাগো, লেগেছেরে-লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে,  হিন্দুদের উপর হামলা কেন জবাব চাই জবাব চাই, তুমি কে আমি কে বাংঙালী বাংঙালী, মন্দিরের উপর হামলা কেন জবাব চাই জবাব চাই এরকম শ্লোগান মুখরিত হয়ে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মিলিত হয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শাল্লা শাখার সভাপতি তরুণ কান্তি দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেনের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভায় মিলিত হন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শাল্লা উপজেলার কেন্দ্রীয় কালি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও অন্যান্য সুধীজন।

এসময় বক্তাগণ সংখ্যালঘুদের রক্ষায় আট দফা দাবি পেশ করেন তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা।

২.অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ‘ প্রণয়ন করতে হবে।

৩.সংখালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা।

৪. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।

৫. দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করা।

৬.প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করা।

৭.সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন করা।

৮.শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দেওয়া।

শাল্লা উপজেলার কেন্দ্রীয় কালি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু তার বক্তব্যে বলেন আমরা দিরাই-শাল্লা তথা এই ভাটি অঞ্চলের মানুষ পূর্ব পুরুষ থেকে যোগযোগ ধরে সম্প্রীতির বন্ধনে বসবাস করে আসছি, ভবিষ্যতে ও সম্প্রীতির বন্ধন বজায় রেখে হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই হিসেবে চলতে চাই।