ডেস্ক রিপোর্ট।।
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করে তা কাজে লাগাতে যৌথ সমীক্ষা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকায় কানাডার হাই কমিশনার বেনোয়া প্রিফন্টেন বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনার কথা জানান।
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ২০১৭ সালে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ করতে সম্মত হয় দুই দেশের সরকার। সেই লক্ষ্যে একটি ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ও তৈরি করা হয়। কিন্তু নানা কারণে তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারের জন্য সহায়ক এই উদ্যোগ দীর্ঘদিন থমকে থাকার পর এখন আবার সচল হতে যাচ্ছে বলে এফবিসিসিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে কানাডার হাই কমিশনার আগামী নভেম্বরের মধ্যেই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের আগ্রহের কথা বলেন। কানাডার পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বেসরকারি খাতের চারজন প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছে বলেও জানান।
বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে হাই কমিশনার বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজারের বিকাশসহ আর্থ সামাজিক নানা সূচকে এ অঞ্চলের ‘সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল’ অর্থনীতির দেশ হয়েও বাংলাদেশ এখনো কানাডার বিনিয়োগকারীদের কাছে অনেকটাই ‘অপরিচিত’। তাই নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হয় না। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করতে এরই মধ্যে সিনিয়র ট্রেড কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে কানাডা দূতাবাস।
এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “আমি নিজেই এই গ্রুপের কো-চেয়ার হিসাবে আছি। চলতি মাসেই যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের প্রস্তুতি হিসাবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে এফবিসিসিআই।”
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে নির্মাণাধীন ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে অনেকগুলো দেশ বিনিয়োগ করেছে। কানাডার বিনিয়োগকারীদের জন্যও এসব অঞ্চল আকর্ষণীয় হতে পারে।
বাংলাদেশের প্রাইমারি টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিরামিকস, আসাবাব শিল্প, অবকাঠামো ও ব্লু ইকোনমি খাতে কানাডার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এই নেতা।
কানাডায় বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা বেশি। আর আমদানির পরিমাণ ছয়শ মিলিয়ন ডলারের মত।
মন্তব্য করুন