গত ঈদুল আযহার পূর্বে বাবুর্চিদের মাঝে বিতরণের জন্য একটি কোম্পানির দেয়া লাখ টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে এই পেশায় জড়িত নন এমন ব্যক্তিরা। নিশিতা কোম্পানি এই টাকা বাবুর্চিদের মাঝে বিতরণের জন্য মাসুক আহমদ ও আব্দুল বাছির নামের দুই ব্যক্তির কাছে প্রদান করে। কিন্তু তারা এই টাকা আত্মসাৎ করে নেয়।
বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। এসময় অসহায় বাবুর্চিদের জন্য আসা এই টাকার কথা সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করেনি কেন এমন প্রশ্ন রাখেন উপজেলা বাবুর্চি শ্রমিক কল্যাণ সংস্থার নেতৃবৃন্দ।
সম্প্রতি বিয়ানীবাজার বাবুর্চি কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা বক্তব্য অসত্য ও বানোয়াট আখ্যা দিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বাবুর্চি শ্রমিক কল্যাণ সংস্থা।
সংগঠনের পক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুর্চি রবিউল বলেন, দীর্ঘ ৩৬ বছর থেকে সুনামের সাথে বাবুর্চির পেশায় থাকা সিরাজ মিয়া আমাদের সংগঠনের সভাপতি। তার নেতৃত্বে ১১৫ জন বাবুর্চি ও শ্রমিক উক্ত সংগঠনের সদস্য।
গত সংবাদ সম্মেলনে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনিত নিন্দনীয় বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রবিউল আরও বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে এবং ত্রাণ আত্মসাতের লক্ষে অন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিয়ানীবাজার উপজেলা বাবুর্চি কল্যাণ সংস্থার অনেকের নাম তালিকাভুক্ত করেন। তবে এই তালিকায় থাকা তাদের সংগঠনের কাউকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়নি। এসব বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বিয়ানীবাজার বাবুর্চি কল্যাণ সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দের গাত্রদাহ শুরু হয়। তারা বাবুর্চির কাজ বাগিয়ে আনতে যেসব অবৈধ উপায়ের কথা বলেছেন, এসব কাজে বিয়ানীবাজার বাবুর্চি কল্যাণ সমবায় সমিতির সদস্যরা জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
এসকল বিষয় উল্লেখ করে এবং ত্রাণ আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিশিতা কোম্পানিকেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন উপজেলা বাবুর্চি শ্রমিক কল্যাণ সংস্থার নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় নিশিতা কোম্পানির মসলা জাতীয় দ্রব্য নিয়ে তারা নতুন করে ভাববেন বলে হুশিয়রি উচ্চারণ করেন।
এ সময় সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুর রকিব, মুছব্বির আলী, নিজাম উদ্দিন, কছির আলী, মুজিবুর রহমান বিপ্লব, সভাপতি সিরাজ মিয়া, সহ-সভাপতি আব্বাছ উদ্দিনসহ প্রায় অর্ধশত বাবুর্চি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন