আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে সাংবাদিককে সংবাদ প্রকাশের জেরে হুমকির অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
অভিযোগকারী সাংবাদিক রিয়া উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের উত্তরউত্তমপুর এলাকার মো. নুরুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে ও দৈনিক নয়া শতাব্দী পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
উপজেলার নৈকাঠিতে বসতঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে এ হুমকি প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় ঐ সাংবাদিক রিয়া আক্তার শনিবার দুপুরে থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন (ডাইরি নম্বর- ২৪৬)।
ডায়রি সূত্রে জানাগেছে, গত ৪ নভেম্বর যুদ্ধাপরাধী হামেদ জমাদ্দারের নাতনী ও রাজাপুরের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিউটিশিয়ান চন্দ্রিমা রিমু ও উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোসাঃ নাজমা ইয়াসমি মুন্নির সহায়তায় উপজেলার নৈকাঠি বাজার এলাকায় মো. শহিদুল ইসলামের বাড়ির সবাইকে বেধে তার বসতঘর ভাংচুর করে মাটিতে মিলিয়ে দিয়ে ঘরে থাকা সমস্ত মূল্যবান মালামাল পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মুন্নিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভূক্তভোগী পরিবার। ঐ ঘটনার সংবাদ রিয়ার কর্মরত পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে প্রচার হয়। যার লিংক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে যায়। রিয়াও নিউজের ঐ লিংক তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। লিংক শেয়ার করায় ইউপি সদস্য মুন্নি রিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে জানায় হাইকোট থেকে মামলায় জামিন নিয়ে আসতেছি রিয়া তোকে দেখে নিব। তোর সম্মান রাস্তায় নষ্ট করবো। রিয়াকে গুম-খুন-জখম করবে বলেও হুমকি দেয় ইউপি সদস্য মুন্নি। এমনকি মুন্নির বিরুদ্ধে যে সকল সাংবাদিক নিউজ করেছে তাদেরকেও দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নি জানায়, হুমকির এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। আমি কাউকে এমন হুমকি প্রদান করিনি। এগুলো আমার উপরে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিককে হুমকি প্রদানের অভিযোগে একটি ডায়েরি হয়েছে। ডায়রির আলোকে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন