কমলগঞ্জে ময়ুর মিয়া হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন; আলামতসহ মূল আসামী গ্রেফতার


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : জুলাই ১৬, ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ন /
কমলগঞ্জে ময়ুর মিয়া হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন; আলামতসহ মূল আসামী গ্রেফতার

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের ময়ুর মিয়া (৬০) হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মূল আসামি রিপন দেবনাথকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, নিহতের মোবাইল ফোনের ভাঙা অংশ ও সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, আসামি রিপন দেবনাথের সঙ্গে ভিকটিম ময়ুর মিয়ার সুদের টাকার লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সুদের টাকা পরিশোধ করলেও টাকা লেনদেনের চুক্তিনামা/স্ট্যাম্প ফেরত না দেওয়ায় রিপন ক্ষিপ্ত ছিল। ঘটনার দিন গত ১১ জুলাই রাতে রাতে দেওড়াছড়া চা বাগান থেকে দুজন একসাথে বাড়ি ফেরার সময় রিপন ময়ুর মিয়ার কাছ থেকে স্ট্যাম্প ফেরত চান। স্ট্যাম্প ফেরত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাকির একপর্যায়ে রিপন ময়ুর মিয়াকে বাবনবিল ছড়ার ধারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে কিল-ঘুষি মেরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো চাকু দিয়ে তিনবার আঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর চাকু রিপন দেবনাথ তার প্রতিবেশি নিবাস সাঁওতালের বাড়ির টয়লেটের ভেতর ফেলে দেয় এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও সিম কার্ড ভেঙে পাশ্ববর্তী হামিদিয়া চা বাগানে ফেলে দেয়।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই রাতে দেওড়াছড়া চা বাগানের বাবনবিল ছড়ায় স্থানীয়রা একটি লাশ দেখতে পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পরে নিহতের মেয়ে হালিমা বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সূত্রের ভিত্তিতে গত ১৫ জুলাই মঙ্গলবার রাতে কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার এলাকা থেকে রিপন দেবনাথকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত স্বীকারোক্তি প্রদান করে। তার দেখানো মতে হামিদিয়া চা বাগান এলাকা থেকে হত্যার আলামতসমূহ উদ্ধার করা হয়।