‘ভাই, দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলেন। সামনে কি হয়েছে জানি না। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বকশিবাজার মোড়, টিএসসি ও দোয়েল চত্বর পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট। বহুদিন এমন জ্যাম চোখে পড়েনি।’
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মধ্য দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে একাধিক চালক পলাশী মোড় থেকে আসা এক ড্রাইভারদের লক্ষ্য করে কথাগুলো বলছিলেন।
উল্টো রাস্তা ধরে সামনে এগিয়ে যেতেই দেখা যায়, একদিকে জগন্নাথ হল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বকশিবাজার থেকে টিএসসি অভিমুখী রাস্তায় শতশত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেল যানজটে আটকা পড়েছে। যানবাহনের কোনো নড়াচড়া নেই।
যতদূর চোখ যায় শুধু যানজট আর যানজট। দুপুরের প্রচণ্ড গরম ভয়াবহ যানজটে আটকাপড়ে হাঁসফাঁস ও দর দর করে ঘামছিলেন অনেকেই। যানজটে আটকে পড়ে ঢাবি এসএমহলের সামনে বেশ কয়েকজন ভ্যানগাড়ি ও রিকশাচালককে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়।
মাত্র দুই দিন আগেও করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুরোধে সরকারি নির্দেশনায় দীর্ঘদিন লকডাউন চালু থাকায় এ এলাকার চিত্র ছিল খুবই স্বাভাবিক। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় যানবাহন তেমন একটা দেখা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনে দুপুরেও সুনসান নীরবতা বিরাজ করতে দেখা গেছে। কিন্তু বুধবার থেকে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে লকডাউন প্রত্যাহারের ফলে রাজধানীর চিত্র পাল্টে যায়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে কর্তব্যরত ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, লকডাউন উঠে যাওয়ার প্রথম দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। তাছাড়া রাজধানীর জিরো পয়েন্টের অদূরে বাম সংগঠনের একটি সভা থাকায় প্রভাব পড়েছে।
তিনি জানান, শুধু এ রাস্তাতেই নয় লকডাউন উঠে যাওয়ার দ্বিতীয় দিনে নগরীর অন্যান্য সড়কে যানবাহন ও মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। ফলে বিভিন্ন রাস্তায়ও তুলনামূলকভাবে যানজট তৈরি হয়।
করোনার সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শতভাগ মাস্ক পরিধানের পরামর্শ দিলেও সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষকে মাস্ক পরিধান করতে দেখা গেলেও সঠিক নিয়ম মেনে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি অনেককেই।
মন্তব্য করুন