ডেস্ক রিপোর্টঃ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাছাইপর্বের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্কটল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হয় মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। এরপর অবশ্য ওমান, পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নেয় টাইগাররা। তবে এই পর্বেও ঘুরপাক খেতে হচ্ছে হারের বৃত্তে। জয়ের বন্দরে যেন কিছুতেই তরী ভেড়াতে পারছে না টিম বাংলাদেশ। দিশেহারা, দিকভ্রান্ত এক দল প্রতিনিয়তই সমালোচনার তির্যক বানে জর্জররট
শুধু ম্যাচ হারই না, ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেও পড়ছেন বিপাকে। দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম তো রীতিমতো ’টক অব দ্য সোশ্যাল মিডিয়া’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমর্থকদের রোষানলে পড়েছেন তারা। একে তো ম্যাচ হার, তার ওপর ক্রিকেটারদের নানামুখী মন্তব্য এসব নিয়েই এখন সমালোচনায় মুখর সমর্থকরা।
শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর আশা জাগানিয়া ম্যাচ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। জয়ের লক্ষ্যটাও ছিল হাতের নাগালেই। ১৪৩ রানের মাঝারি টার্গেট। সেটিকেও কঠিন করে তুললেন টাইগার ব্যাটাররা। জয়ের খুব কাছে গিয়েও হতাশ করেছেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা। মাত্র ৩ রানে হেরে রাজ্যের হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। এই হারের পর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন এক রকম শেষ বলা যায়। প্রথম তিন ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় টিম বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালের স্বপ্ন এখন ধূসর বাংলাদেশের জন্য। তবুও খড়কুটো আঁকড়ে ধরার মতো করে আশার সলতেটুকু জ্বালতে চায় বাংলাদেশ। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও কাগজে-কলমে একটা হিসাব অবশ্য পাল্টে দিতে পারে সবকিছু। আর এই হিসাব বলছে, সেমিফাইনালে খেলার আশা একদম শেষ হয়ে যায়নি টাইগারদের। কাগজে-কলমের হিসাবে এখনো বাংলাদেশের সেমিতে খেলার স্বপ্ন বেঁচে আছে।
বাংলাদেশের গ্রুপে মোট ছয়টি দল আছে। যদি কোন একটি দল তাদের খেলা ৫টি ম্যাচেই জিতে যায় তখন বাকি পাঁচ দলের সামনে সুযোগ থাকবে দুইটি করে ম্যাচ জিতে সমান চার পয়েন্ট অর্জন করার। আর তখন সামনে আসবে নেট রানরেটের হিসাব-নিকাশ। পাঁচ দলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো নেট রানরেটের দলটিই গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে যাবে সেমিফাইনালে।
মন্তব্য করুন