নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে ॥
নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নে চুরান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। নেতাকর্মীদের দীর্ঘ অপেক্ষিত সময়ের পর ১৩ টি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের এসব প্রার্থীরা হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার ১নং পশ্চিম বড়ভাকৈর ইউপিতে সমর চন্দ্র দাশ, ২নং পূর্ব বড়ভাকৈর আক্তার হোসেন ছোবা, ৩নং ইনাতগঞ্জ আছাবুর রহমান জীবন, ৪নং দীঘলবাক আবু সাইদ এওলা মিয়া, ৫নং আউশকান্দি দিলওয়ার হোসেন, ৬নং কুর্শী আলী আহমেদ মুসা, ৭নং করাগাঁও বজলু মিয়া, ৮নং সদর হাবিবুর রহমান হাবিব, ৯নং বাউসা আবু সিদ্দিক, ১০ নং দেবপাড়া আব্দুল মোহিত, ১১নং গজনাইপুর সাবের আহমেদ, ১২ নং কালিয়ারভাঙ্গা ফরহাদ আহমেদ, ১৩ নং পানিউমদা ইজাজুর রহমান।
এদিকে নতুন মুখ হিসাব দলীয় মনোনয়নে চমক দেখালেন নবীগঞ্জ উপজেলার ৭নং করগাঁও ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি বজলু মিয়া। তার বিপরীতে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন হেভিওয়েট প্রার্থী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মেলেন্দু দাশ রানা। অপরদিকে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান সাজুকে টপকে নৌকার মনোনয়ন পেলেন হেভিওয়টে প্রার্থী পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। নতুন প্রার্থীদের চমকের যেন শেষ নেই। নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনপ্রিয় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের বদলে নৌকা পেলেন আওয়ামীলীগ নেতা সাবের আহমেদ। এনিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। নৌকা প্রতীকের চুরান্ত দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ আর উল্লাস দেখা দিয়েছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নৌকার চুরান্ত মনোনয়ন ব্যক্তিদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করছে তৃণমূল থেকে উপজেলার নেতাকর্মীরা। প্রার্থী যেই হোক না কেন। দলীয় প্রতীকের জন্য ভোটের মাঠে জয়লাভ করতে প্রচার প্রচারণা করছেন সকল নেতারা।
নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে নতুন পুরাতন প্রার্থীরা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোবেসে আমাদের হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। এটি হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে দলের জন্য কাজ করার অন্যতম উপহার। তৃণমূল আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে অবশ্যই আমাদের ভূমিকা ছিল থাকবে। জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবদী। বিএনপি মাঠে না থাকলেও স্বতন্ত্র সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা রয়েছেন সরব অবস্থানে। তাদের প্রচার প্রচারণায় এখন মুখরিত উপজেলার জনপদ।
তবে স্বতন্ত্র নাম বিএনপির অনেক পদধারী নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে আসছে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩য় ধাপের ইউপি নির্বাচন। নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার ৪শ ৪৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ২শ ৭৩ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ১শ ৮৬ জন।
মন্তব্য করুন