নূরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ থেকে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে পুত্রবধূ মারিয়া আক্তার (২৬) ও শাকিল মিয়া (২০) নামে এক তরুণকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতিতরা উপজেলার কোনাগাঁও গ্রামের ভিংরাজ মিয়ার স্ত্রী মারিয়া আক্তার (২৬) ও একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে শাকিল মিয়া (২০)।
নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মারিয়ার শ্বশুর আব্দুস ছামাদ, স্বামী ভিংরাজ মিয়া, ভাসুর ধুপরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূ মারিয়া চুনারুঘাট থানায় বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের পর চুনারুঘাট থানাপুলিশ মারিয়ার স্বামী ভিংরাজ মিয়াকে আটক করে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করেন।
এর আগে সোমবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলায় কোনাগাঁও গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে। গৃহবধূ ও তরুণের শিকলবন্ধি কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে আব্দুস ছামাদ পুত্রবধূ মারিয়া ও তাদের নিকটাত্মীয় শাকিলের হাত-পা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। সোমবার রাতে তাদেরকে মারধরও করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে দুইজনকে শিকল দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁচরে গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় দেন। শাকিলের মা মমিনা খাতুন জানান, তার ছেলে নির্দোষ। তাকে মিথ্যা ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। তিনি এর সুবিচার কামনা করেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর জানান, ছামাদ মিয়া তার পুত্রবধু ও তরুণের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে আমার এখানে নিয়ে আসেন। মেয়েটি এক বাচ্চার মা। পরে দুইজনকে তাদের আত্মীয়ের জিম্মায় দিয়েছি। ছামাদ মিয়ার অভিযোগ সত্য কি না বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে খতিয়ে দেখা হবে।
চুনারুঘাট থানার (ওসি) আলী আশরাফ জানান, এঘটনায় গৃহবধু মারিয়া বাদী হয়ে ভাসুর ধুপরাজ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত স্বামী ভিংরাজ মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন