সিলেট প্রতিনিধিঃ
পাখি কেনাবেচার রাতের হাটে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের অভিযানে ১৩ অক্টোবর বুধবার রাত ১০টায় সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে এক পাখি শিকারিকে আটক করা হয়। ধরপাকড় এড়াতে রাতের বেলায় এভাবে পাখি কেনাবেচার বিষয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক বিক্রেতাকে আটক করার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়।
এ ঘটনার সূত্র ধরে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে এক পাখিশিকারিকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি খাঁচাভর্তি বক।
অভিযানে ‘পাখিকুঞ্জ’ নামের একটি দোকানের আড়ত থেকে ৩টি খাঁচায় ১৯টি সাদা বক ও ১৮টি কানিবক উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাখিকুঞ্জ থেকে ইয়াহিয়া আহমদ (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেন বন বিভাগের সশস্ত্র বনরক্ষীরা। ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে সাদা বক ও কানিবক সিলেট নগরের চা-বাগানের জলাশয়ে অবমুক্ত করা হয়।
অভিযানে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সহায়তা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সদস্যরা।
বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, টানা দুই সপ্তাহের পর্যবেক্ষণের পর বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে এ অভিযান চালানো হয়। রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অভিযান চলাকালে মদিনা মার্কেট এলাকায় দেখা যায়, সাদা বক বিক্রির জন্য যে লোকটি পাখিকুঞ্জের সাইনবোর্ডের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি মূলত পাখিশিকারি। আটক পাখিশিকারি ও বিক্রেতা ইয়াহিয়া আহমদ বলেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকার হাওর থেকে তিনি সাদা বক ও কানিবক শিকার করে এনেছেন। প্রতিটি বক ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :