সিলেট প্রতিনিধিঃ
ফুটপাত দখল করে মাছ ও কাঁচা বাজার বসানো সিলেট নগরীর পুরনো সমস্যা। এতে হাঁটাচলার জায়গাটুকুও চলে যায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দখলে। নগর কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে হকার পুনর্বাসন করলেও সেখানে বসেন না হকাররা। অতিবিক্রির আশায় ফুটপাত দখল করে বসে তারা। এ নিয়ে নগর কর্তৃপক্ষ ও হকারদের মধ্যে চোর-পুলিশ খেলা নিত্যদিনের। ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ কর্মীদের কোনও গুরুত্ব দেন না হকাররা। কেবল মেয়রের গাড়ি দেখলেই সবকিছু ফেলে সরে যান ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। এমন চিত্র নগরীর অভিজাত আবাসিক এলাকা শাহজালাল উপশহরের।
সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপশহরের ডি ব্লক এলাকায় স্থানীয় কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম ও সিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে হঠাৎ অভিযানে নামেন। কিন্তুু ফুটপাতে পৌঁছানোর আগেই টের পেয়ে ব্যবসায়ীরা সবকিছু ফেলে পালিয়ে যান। এ সময় ফুটপাতে বসা হকারদের বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সিসিক সূত্র জানায়, শাহজালাল উপশহর আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের প্রধান সড়কের পাশে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতে অবৈধ বাজার বসিয়েছে। ফুটপাত জুড়ে সড়কের একাংশও দখলে নেয় হকাররা। ফলে চলতে ফিরতে দারূন ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীদের। প্রতিদিন বাজারের উচ্ছিষ্ট ময়লা, পঁচা মাছ-তরকারি, মুরগের বিষ্টা, নাড়িভুড়ি,সড়কের পাশে ফেলায় বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে করে সকাল-বিকাল হাঁটা চলায় বের হওয়া নারী পুরুষ এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। আর বাজার বসার কারণে উপশহরের প্রধান সড়কে যানজট লেগে থাকতো। ফলে স্থানীয় লোকজনের দাবির প্রেক্ষিতে ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার ফুটপাত থেকে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন বলে জানান মেয়র আরিফ।
তিনি বলেন, অভিযানে ফুটপাতে গড়ে উঠা অবৈধ বাজারের বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছে। এরপর যারা সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বসবে। তাদের জরিমানা করা হবে। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে বাজার বসিয়ে হকাররা পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে অভিযানে নেমেছি।
মন্তব্য করুন