দ্য সিলেট পোস্ট পোষ্ট ডেস্ক |
অর্থনীতিতে এ বছর তিন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ একত্রে পেলেন আলফ্রেড নোবেল স্মারক পুরস্কার। তারা যথাক্রমে ডেভিড কার্ড, জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট এবং গুইডো ডব্লিউ ইমবেনস। ডেভিড কার্ড (জন্ম ১৯৫৬) এক জন শ্রম-অর্থনীতিবিদ। তিনি আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের অর্থনীতির অধ্যাপক। জোশুয়া অ্যাংরিস্ট (জন্ম ১৯৬০) জন্মসূত্রে ইসরায়েলি। তিনি আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অর্থনীতির অধ্যাপক। গুইডো উইলহেলমস ইমবেনস (জন্ম ১৯৬৩) জন্মসূত্রে ওলন্দাজ। তিনি আমেরিকার পিয়ার রিভিউ অর্থনীতি বিষয়ক পত্রিকা ইকনোমেট্রিকসের বর্তমান সম্পাদক। ইতিপূর্বে অধ্যাপনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে।
সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়েছে, ডেভিড কার্ডকে পুরস্কৃৃত করা হয়েছে শ্রম-অর্থনীতিতে তার অভিজ্ঞতালব্ধ অবদানের কারণে। বাকি দুই অর্থনীতিবিদকে ক্যাজুয়াল রিলেশনশিপ সংক্রান্ত বিশ্লেষণের বিষয়ে পদ্ধতিগত অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, ক্যাজুয়াল রিলেশনশিপ বলতে অর্থনীতিতে কার্যকারণের সেই সম্পর্কবিন্যাসকে বোঝানো হয়, যেখানে কার্য ও কারণের মধ্যে ভিত্তি ও উপাদানগত সম্পর্ক বিরাজ করে।
ডেভিড কার্ড ১৯৯০-এর দশকে ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে অর্থনীতির বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ধারণার সমালোচনা করে নজর কাড়েন। পরে অভিবাসন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে তিনি গবেষণা করেন। বিভিন্ন অভিবাসী গোষ্ঠীর উপরে নিরীক্ষা চালিয়ে কার্ড দেখান যে, অভিবাসনের ফলে কোনও দেশের অর্থনীতি তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন সময়ের অভিবাসন বিশ্লেষণ করে তিনি দেখান, এর ফলে দুই দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাঁর বক্তব্য আমেরিকার শ্রমবাজারে বাইরের শ্রমের অনুপ্রবেশের স্বপক্ষে কথা বলে।
সুইডিশ অ্যাকাডেমির প্রাইজ কমিটির প্রধান পিটার ফ্রেডেরিকসন জানিয়েছেন, সমাজের অন্তস্তলের সমস্যা নিয়ে কার্ডের গবেষণা এবং অর্থনীতির পদ্ধতিগত আলোচনার ক্ষেত্রে অ্যাংরিস্ট এবং ইমবেনসের কাজ জ্ঞানজগৎকে সমৃদ্ধ করেছে। বেশ কিছু ভিত্তিগত প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছে, যা সমাজের অশেষ উপকার করেছে। অ্যাকাডেমি প্রদত্ত পুরস্কারের অর্থমূল্য এ বছর ভাগ করে দেওয়া হবে তিন অর্থনীতিবিদের মধ্যে।
মন্তব্য করুন