তেতুলিয়ায় বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন পালিত

খাদেমুল ইসলাম, তেতুলিয়া: তেতুঁলিয়া বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর ২০২১) বিকেলে এলাকাবাসির আয়োজনে পরিবার ভূক্তভোগী শতাধিক এই মানববন্ধনসহ মিছিল করেন। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী তেতুলিয়া বাংলাবান্ধা মহাসড়কে ভজনপুর মানবন্ধন পালিত করা হয়।পরে হাটবাজার আরো মিছিল করতে দেখা গেছে ।এব্যাপারে কুদরত- খুদা মিলন সহিত যোগাযোগ জানান,এসব মিথ্যাচার ষড়যন্ত্র নির্বাচনের কারনে প্রতিপক্ষ করাচ্ছে।

জানাযায়, তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হামিদ ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম এবং বাংলাবান্ধা ইউপির দিঘলগাঁও গ্রামের মৃত রফাবদ্দিন এর ছেলে জফির উদ্দিন, ওই একই ইউনিয়নের গোয়ালগছ গ্রামের মৃত কালু মোহাম্মদের ছেলে জুমারউদ্দিন সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউপির পশ্চিম খালপাড়া গ্রামের সায়দারের স্ত্রী আছিয়া বেগম, এছাড়াও সাতমেরা ইউনিয়নের বকশিগছ এলাকার আনোয়ারা বেগম সাবিনা আকতার সহ শতাধিক নারী পুরুষরা মানববন্ধনে অভিযাগ করেন।

এ সময় মিলন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করেন আব্দুল হামিদ। পরে সেখান থেকে আবারও মিছিল করে। অনবরত স্লোগান দেন । ৩ ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করা হয়। এ সময় আব্দুল হামিদ অনবরত স্লোগান দিতে দেখা যায়, তিনি বলেন দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্তেও তেতুঁলিয়া থানা পুলিশ মিলন চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করছেনা। এছাড়াও মিলন চেয়ারম্যান একজন ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ তাকে গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে পুলিশ। এজন্য মিলন চেয়ারম্যানকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের দাবী জানিয়েছেন আব্দুল হামিদ।এছাড়াও আব্দুল হামিদ তার স্বাক্ষরিত প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখ সি.আর ৪২৪/২১(ঞ) মামলায় বিজ্ঞ আমলী আদালত-৪, তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় এবং সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখ তেঁতুলিয়া মডেল থানার এফআইআর ৮/৩৬, জিআর- ৩৬/২০ নং মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মিলন চেয়ারম্যান।

তাকে ধরতে পুলিশ গড়িমসি করছে। তিনি আরোও বলেন, তেঁতুলিয়া থানার ওসি মো,আবু ছায়েম মিয়া ও এসআই আব্দুল লতিফের যোগসাজসে ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ কুদরত-ই-খুদা মিলন চেয়ারম্যান ধরা ছোয়ার বাহিরে। এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া জানান, মিলন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্যি। অভিযানে তৎপর রয়েছে পুলিশ এবং তবে তাকে বাসায় পাওয়া যাচ্ছেনা।