মোঃ খাদেমুল ইসলাম,পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় একটি পরিত্যক্ত কাউন্টার থেকে সন্তোষ রায় (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহত সন্তোষ রায়ের বাড়ি উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার তিনপুল এলাকায়। তার বাবার নাম সুশীল চন্দ্র রায়।
স্থানীয় ও পরিবহন সূত্র থেকে জানা যায়, রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে ঢাকার নবীনগর কাউন্টার থেকে দেবীগঞ্জের উদ্দেশে দেবীগঞ্জ স্পেশাল নামে একটি গাড়িতে ওঠেন ওই যুবক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে দেবীগঞ্জে এসে পৌঁছান গাড়িটি৷ এসময় সকল যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে যান। তার সাথে ওই যুবকও নামেন।
জানা যায়, সন্তোষ রায় গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার নবীনগরের বাসস্ট্যাণ্ডে বাড়ি আসার জন্য ঘুরাফেরা করছিল। কিন্তু টাকার জন্য সে বাড়িতে আসতে পারেনি। পরে দেবীগঞ্জ স্পেশালের নৈশকোচটি তাকে বিনা ভাড়ায় দেবীগঞ্জ নিয়ে আসেন।
স্থানীয় কাউন্টার মাস্টার ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেবীগঞ্জ স্পেশাল পরিবহনে করে এসেছেন ওই যুবক। কোচটি দেবীগঞ্জ স্ট্যান্ডে এসে থামলে বেশ কয়েকজন যাত্রী নেমে যার যার মত চলে যান। কিছুক্ষণ পরে আমরা দেখতে পাই একজন ব্যক্তি পরিত্যক্ত ওই কাউন্টারে মেঝেতে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা দেবীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেই।
পুলিশ সন্তোষকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সন্তোষের পরিবারের সদস্যরা জানান, সন্তোষ রায় দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার নবীনগড় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চালাতো। দীর্ঘদিন ধরে তার হাঁপানি রোগ ছিল। কিন্তু কি কারণে সে মারা গেছে এটি তারা নিশ্চিত না।
দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জ্যোতিষ্ময় রায় জানান, সন্তোষ রায় নামে ওই যুবককে মৃত অবস্থায় থানা পুলিশের সদস্য ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কিন্তু কি কারণে মারা গেছে তার কারণ জানা যায়নি।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা পরিত্যক্ত কাউন্টার থেকে সন্তোষ রায় নামের ওই যুবকের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। যদি পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন