একদিন জীবন থেমেছিল,আমার শিশু ওষ্ঠে
হাসির ভাঁজে।আগুনের মাঠ চষে তুমি এনে দিলে
বিজয়ের স্বাদ।যে স্বাদের ভেতর আজও— রাতের
আঁধার ভেঙে তোমার স্বপ্নেরা করে ভিড়।মায়ের
ক্লান্তিহীন চোখে,গৌরবের মখমল পর্দার ফাঁকে কান
পাতে। শোনে ভোরের আওয়াজ। আর রাতের বাকস
খোলে গেলে বের হয়ে আসে তোমার রক্তাক্ত শার্ট।
আস্তিনে চমকানো বিজয় হাসি দেখে- আমি হয়ে ওঠি
সাহসী যুবক। আর সেই হাসি মেখে স্পর্শ করি প্রভাতী সুর্য।
আমি প্রতিরোজ লিখে রাখি রক্তে,পৃথিবীর
মলাটে মোড়ানো ইতিহাসের পাতায়,বিজয়ের দলিল।
কানে আসে উল্লাসিত চরণধ্বনি,তোমার নির্মিত পথে।
রাতের শেষে সুর্যের ছোঁয়ায় দোলে ওঠে আকাশ। আর
আমরা খুঁজতে থাকি স্বপ্নমাখা শব্দগুলো ; যে শব্দেরা
একদা তোমার বুকের পাঁজর ছিঁড়ে উৎপন্ন
হয়েছিলো,চোখের আঁধার মণিতে ছড়াতে মুক্ত আলো।
তোমার হৃদয় থেকে বেরিয়ে এসেছিল আঁধার তাড়ানো
আগুন ; নিভে যাওয়া প্রদীপ প্রজ্বলিত হবে বলে।
আজ নিয়তির কাফনে মোড়া নিথর ছায়া মাড়িয়ে
শব্দেরা,একে একে মেলছে মুক্ত শিকড় ; আর আকাশের
দিকে ওঠছে কেবল সাহসী স্বপ্নের মত। তোমার
উৎপাদিত সহসীঅক্ষরের মিলন,আজ ভাবনার
আকাশে বিদ্যুত চমকায়। যে আশা
মন্তব্য করুন