নুরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জিকে গউছ বলেছেন- বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের জন্য বিএনপি জীবন দিতে জানে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে এই দেশ আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন। দেশের প্রয়োজনে, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজের জীবন বাজি রেখে রাজপথে ছিলেন, শেখ হাসিনার চক্রান্তে তিনি ৬ বছর কারাভোগ করেছেন, কিন্তু কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করেননি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ ধরেই বিএনপি আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি বুধবার (২১ মে)বাদ মাগরিব হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি, বিএনপির ১৫টি ইউনিট নেতৃবৃন্দ এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন। আগামী ২৮ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের তারণ্যের সমাবেশ সফল করতে এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- বিএনপিকে জনগণ থেকে আলাদা করতে বিভিন্ন ফরমেটে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এসব ষড়যন্ত্র আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারবে না। আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন আমরা যেন প্রস্তুত থাকি। দেশের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে যখনই ডাক আসে আমরা যেন আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারি।
তিনি বলেন- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কোদাল হাতে তুলে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মনিকোটায় যে শ্রদ্ধার আসন দখল করেছেন, সেই কোদাল আমাদের হাতে নিতে হবে। এই সমাজে যত আবর্জনা আছে, শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া সকল চক্রান্তের আবর্জনা আমাদের কর্মের মধ্য দিয়ে এই কোদাল দিয়ে পরিস্কার করব। আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান ঈদের পরে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা খালি নাই যেখানে মানুষ আছে বিএনপি নাই। আমরা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায়, উপজেলায়, ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে এই কর্মসূচী পালন করব, ইনশাআল্লাহ। জি কে গউছ বলেন- ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে যে কয়েকটি জেলা উত্তাপ ছড়িয়েছে, রাজপথে রক্ত জড়িয়েছি তার মধ্যে হবিগঞ্জ হচ্ছে অন্যতম। আমরা সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে ঢাকা বলেন আর সিলেট সমাবেশই বলেন, প্রত্যকটি সমাবেশে হবিগঞ্জের উপস্থিতি ছিল ভাল। আগামী ২৮ তারিখের সমাবেশেও হবিগঞ্জ থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবে ইনশাআল্লাহ। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম ও হাজী এনামুল হক, সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, সাধারণ সম্পাদক শামছুল ইসলাম মতিন, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইমলাম চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়াল, এডভোকেট মনিরুল ইসলাম, শামছুল ইসলাম কামাল, গোলাপ খান, সরফরাজ চৌধুরী, মোহন তালুকদার, নেকদার আলী, মোস্তফা আল হাদি, সালিক মিয়া, ফজলুর রহহমান তালুকদার, দিদার হোসেন, হাজী আবু তাহের, আল রনি, এডভোকেট মীর সিরাজ, রফিক মিয়া, ফরিদ মিয়া, শামছুল আলম, শাহ আলম গোলাপ, শামছুদ্দিন আহমেদ, শিহাব আহমেদ চৌধুরী, নুুরুল আমিন, গিরেন্দ্র চন্দ্র রায়, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান বাচ্চু, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জালাল আহমেদ, সফিকুর রহমান সিতু, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, জেলা ওলামাদলের সভাপতি কারী কবির হোসেন, জেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :