জনগণের ভোট দ্বারা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত  হউক- জি কে গউছ


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫, ৮:৫৪ অপরাহ্ন /
জনগণের ভোট দ্বারা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত  হউক- জি কে গউছ

নুরুজ্জামান ফারুকী হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- জনগণের সাথে আওয়ামীলীগের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন ছিল বলেই জনগণকে ভয় পেত। আইন শৃংখলা বাহিনীর বেষ্টুনীতে থেকে আওয়ামীলীগ নেতারা উচ্চ স্বরে কথা বলতো। মূলত আওয়ামীলীগ সরকারের পায়ে নীচে মাটি ছিল না। ২০১৪ সালে বিনাভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট আগের রাতে আর ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ মতাকে কুগিত করে রেখেছিল।

তিনি  মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী)  বিকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্রাব অডিটরিয়ামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকাস্থ লাখাই উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ আরও বলেন- আমরা চাই দেশের সংস্কার হউক। জনগণের সম্পদ চুরি, অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হউক। জনগণের ভোট দ্বারা নির্বাচিত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হউক। এসব বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আমাদের অহংকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও ২ বছর পূর্বে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা জাতির সামনে ঘোষণা করেছিলেন। জুলাই বিপ্লবের পরে দেশ সংস্কারের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন দেশ সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দিয়েছে তার অধিকাংশ বিষয় তারেক রহমানের ৩১ দফর মধ্যেই রয়েছে।

তিনি বলেন- আওয়ামীলীগের অন্যায় আবদার পালন করতে গিয়ে পুলিশ জনগণ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। তাই ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অতি উৎসাহি পুলিশ সদস্যদেরকেও মূল্য দিতে হয়েছে। অস্ত্র ফেলে, পোষাক ফেলে পুলিশ সদস্যরা থানা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। অথচ এই পুলিশ বাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করেছিল, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাখির মত পুলিশ সদস্যদেরকে শহীদ করা হয়েছিল। তাদের রক্তের মাধ্যমে এই পুলিশ বাহিনী গড়ে উঠেছিল। ৫ আগষ্টের পর আবারও এই পুলিশ বাহিনীকে রা করার জন্য সবচেয়ে বেশি যে রাজনৈতিক দলটি অবদান রেখেছে তার নাম বিএনপি। বিএনপি নেতাকর্মীরা অরতি থানা পাহারা দিয়েছে, পুলিশের মনোবল বাড়ানোর জন্য আমরা সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছি। আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সাথে মিলেমিশে কাজ করেছি। জি কে গউছ বলেন- আওয়ামীলীগ জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যা গত জুলাই আগষ্ট গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। আওয়ামীলীগ সামন্যতম শক্তি জনগণের সামনে দেখাতে পারেনি। প্রশাসন ছাড়া আওয়ামীলীগকে রা করার কেউ ছিল না। ফোরামের সভাপতি তাজুল ইসলাম মোল্লা তাজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হারুন অর রশিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আবদাল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, কামরুজ্জামান, লাখাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মালু, যুগ্ম আহ্বায়ক তাউছ আহমেদ, লাখাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব লায়েছ মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুল আলম বাদশা, লাখাই উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আহমেদ আজম, সোহেল আহমেদ প্রমুখ।