স্টাফ রিপোর্টার
মুলত ১৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে বানিয়াচং উপজেলা গঠিত। তারমধ্যে ১,২,৩,ও ৪ নং ইউনিয়ন নিয়ে পৃথিবীর মহা গ্রাম কিংবা বৃহত্তর গ্রাম অবস্থিত। প্রতিটি এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে নিচে। প্রচণ্ড দাবদাহ, খরা, বৃষ্টিহীনতা ও পুকুর, খাল ভরাট, নদী গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পানির স্তর দিন দিন নীচে নেমে যাচ্ছে। এদিকে টিউবওয়েলে পানি না ওঠায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। বানিয়াচং উপজেলায় সরকারি ভাবে ৩ হাজার গভীর নলকুপ বসানো হয়। এর ৭০ ভাগই মাঘ,ফালগুন ও চৈত্র মাসে পানি উঠে না।
সরেজমিন বানিয়াচং উপজেলার সদরের, আমীরখানি, কুতুবখানি, মজলিশপুড়,কামালখানি, নন্দিপাড়া, রায়েরপাড়া, যাত্রাপাশা,জাতিকর্নপাড়া, এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশির ভাগ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না।
আমীরখানি এলাকার সামায়ুম মিয়া বলেন, তার বাড়িতে প্রায় ৭৫০ ফুটের একটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছিল। এক গ্লাস পানি ওঠাতে এখন অন্তত ৪/৫ মিনিট সময় লাগে। প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি থেকে আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে এ সমস্যা। মজলিস পুড় গ্রামের গৃহবধূ তামান্না আক্তার বলেন, টিউবওয়েল ও মোটর উভয়ে পানি উঠছে না। চরম বেকায়দায় পড়েছি।
কামালখানির শরিফা বেগম বলেন, আমার বাড়িসহ আশপাশের বাড়িতেও টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। যাদের বাড়িতে জল মোটর আছে, তাদের কোনো সমস্যা নেই। পানি না পেয়ে অনেকেই পাশের গভীর নলকূপ থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। পর্যাপ্ত পানি না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গৃহস্থালি কাজ করতে।
নন্দিপাড়ার প্রিয়া বেগম বলেন, এ সময়ে প্রতিবছরই টিউবওয়েলে পানি উঠে না। এ কারণে খাবার পানি পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
যাত্রাপাশা একালার মোঃ জিতু মিয়া বলেন, তার এলাকায় টিউবওয়েলে পানি না ওঠার কারণে গৃহস্থালি কাজ করতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে গৃহবধূরা। অনেকেই জল মোটর বসাতে বাধ্য হচ্ছেন।
জাতিকর্ন পাড়ার সজিব মিয়া বলেন, একটি জল মোটর বসাতে মিনিমাম ৪০/৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে সবাই জল মোটর বসাতে পারছেন না। সরকারিভাবে জল মোটরের ব্যবস্থা করা হলে মানুষ খাবার পানি সঠিকভাবে পেতে পারবেন।
উপজেলার ২ নং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. তকলিস মিয়া বলেন বিগত সরকারের আমলে পরিকল্পনা হীন ভাবে প্রতিটি সরকারি টিওবয়েল ৭০০/৮০০ ফুট বসানো হয়েছে। এজন্য এখন পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে আমরা এখও কোনো নির্দেশনা পাইনি। আশা করি আগামি মাসিক মিটিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহাকরে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা করব। ৮ নং খাগাউরা ইউনিয়নের গুনই গ্রামে টিউবওয়েল দিয়ে পানি উঠছে না। পূর্ব তোপখানার শাহজাহান মিয়ার টিউবওয়েল বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যক্তি মালিকানাধীন টিউবওয়েল ঠিকই পানি দিচ্ছে।
বানিয়াচং উপজেলার জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকশলী আলী আজগর বলেন আমাদের অনাবৃষ্টি কারনে নদী নালা খালবিল শুকিয়ে যাওয়ার কারনে পানির স্তর নিছে নেমে গেছে তাই শুকনো মৌসুমে পানির চাপা টিউবওয়েল পানি পেতে সমস্যা হচ্ছে বৃষ্টি বৃদ্ধি হলে এই সমস্যা কেটে যাবে
আপনার মতামত লিখুন :