সুমন কর্মকার, তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ
জীবন জীবিকার তাগিদে সামুদ্রিক মাছের সন্ধানে উপকূলীয় প্রতাপনগর অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাত্রা ! যাত্রা ক্ষণে বিদায় জানাতে নদীর তীরে আবেগাপ্লুত পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল দুপুরের প্রথম জোয়ার থেকে তালা উপজেলার কপোতাক্ষ নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে সমুদ্রে মাছ ধরার সন্ধানে প্রায় ২৫০টি নৌকার বহর এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রগামী মৎস্যজীবীরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। মৎস্যজীবীদের স্ব স্ব বহদ্দর সুন্দরবনে প্রবেশে জন্য প্রয়োজনীয় বনবিভাগের অনুমতির কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানান স্থানীয় নৌকা ছেড়ে যাওয়া জেলেরা। মৎস্য আহরণের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের মাছের চাহিদা পূরণ করছেন। অন্য দিকে এই মাছ বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে এই সামুদ্রিক মাছ। এবং এই জেলেদের সংসারের ভোরন পোষণ চলে এই অর্থে। সে ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের শ্রম ত্যাগ তিতিক্ষা অনেক বেশি। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এই মৎস্যজীবীরা থাকেন চরম চিন্তা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়। কখনো কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেকেই প্রাণ হারান। তবুও নির্দিষ্ট সময় এলে এই মৎস্যজীবীরা জীবন জীবিকার ঝুঁকি নিয়ে সুদূর বঙ্গোপসাগরের বুকে মাছ ধরার নৌকা নিয়ে ছুটে যান। যাত্রা লগ্নে স্বজনদের আবেগ আপ্লুত বিদায়ের মুহূর্তে জেলেদের মধ্যে একে অপরের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে মৎস্য আহরণ করার পরামর্শ দেন এলাকার স্থানীয় সচেতন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এবং সকল সময় সরকারের বিধিমালা অনুসরণে সাবধানে থেকে মৎস্য আহরণের সব ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য উপদেশ দেন সচেতন এলাকাবাসী। এ প্রতিবেদককে মাগুরা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জগদীশ বিশ্বাস জানান, ঘাট ছেড়ে যাত্রা করছি। পথিমধ্যে মোংলার চিলি নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করবো। এবং সরকারের অনুমতি পাওয়া মাত্রই আমাদের জেলেরা সুন্দরবনে প্রবেশ করবে।
মন্তব্য করুন