তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ২০২০ সালের ২৪ জুলাই আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। গত দেড় বছর ধরে মহামারি সংক্রমণ রোধে বিশ্বব্যাপী নানা ধরনের বিধি-নিষেধ চলছে।
গত এক বছরে এখানে ৩০ লাখ পর্যটক এসেছেন।
সরকারি সূত্রে জানায়, গত এক বছরে আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড পরিদর্শনে স্থানীয় ও বিদেশি মিলে প্রায় ৩০ লাখ পর্যটক এসেছেন।
ইস্তাম্বুলের ভারপ্রাপ্ত মুফতি মুস্তফা ইয়াফুজ জানান, বিভিন্ন দেশের বিমান চলাচলের বিধি-নিষেধে তুলে নেওয়া হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরো বেশি হতো। ঐতিহাসিক এ স্থাপনার প্রতি স্থানীয়দের আগ্রহ ও গুরুত্ব অনেক বেশি। বিশেষত ১ জুলাই থেকে কারফিউ ও নানা ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার পর তাদের বেশি যাতায়াত শুরু হয়েছে। অবশ্য নামাজ আদায় কিংবা যেকোনো পরিদর্শনের জন্য সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হয়।
ইয়াফুজ আরো বলেন, ‘আয়া সোফিয়া মসজিদ হওয়ায় তুরস্ক ও ইস্তাম্বুলের ইসলামী পরিচয় হিসেবে তা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটি স্থান। মুসলিমদের কাছে এর প্রতীকী মূল্যও অনেক বেশি। ইস্তাম্বুল বিজয়ের পর মুসলিমদের শহর শাসনের অন্যতম নিদর্শনও এটি। ’
১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগ পর্যন্ত ৯১৬ বছর তা খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শ বছর তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ৮৬ বছর ঐতিহাসিক এ স্থাপনা জাদুঘর হিসেবে থাকে। অতঃপর ২০২০ সালে তা পুনরায় মসজিদের রূপে ফিরে যায়। মসজিদ হলেও তা সব ধর্ম ও বিশ্বাসের পর্যটকের জন্য উম্মুক্ত থাকে।
গত বছর ১০ জুলাই, তুরস্কের একটি আদালত ১৯৩৪ সালের মন্ত্রিসভার আদেশ বাতিল করে, যে আদেশের কারণে তখন আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর করা হয়েছিল। ফলে দীর্ঘ ৮৬ বছর পর ঐতিহাসিক এ স্থাপনাটি মসজিদের ঐতিহ্যে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম হয়। এরপর ২৪ জুলাই তাতে প্রথম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন