
নজরুল ইসলাম
অদ্য যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ সেন্টারে, বাংলাদেশ সেন্টার কর্তৃপক্ষ মধ্যকার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে আমার দৃষ্টি কটু হয়েছে। যা ঘটে গেল তা সত্যি অনভিপ্রেত।
প্রথমত: এই ধরনের আচরণ মোটেই কাম্য নয়।কমিউনিটির নেতারা কমিউনিটির স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে যদি কথায় কথায় অস্থিত হয়ে যান, আচার-আচরণ ডায়াবেটিক রোগীদের মত হয় (হঠাৎ উত্তেজিত) তাতে কমিউনিটি কাজের আগে নিজেদেরকে ফিক্স করে নেওয়া উচিত।
দ্বিতীয়ত: একজন রাষ্ট্রদূতের ক্লিয়ার vision থাকা উচিৎ। তিনি যে কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নিয়োগ পেয়েছেন তিনি যাতে করে তাদের রেশের মধ্যে না পড়েন। সে ব্যাপারে তার সজাগ দৃষ্টি থাকা উচিৎ। তিনি অত্যন্ত সম্মানই ব্যক্তি, দুই পক্ষ মধ্যকার তার অবস্থান মোড়লের মত হবে না।
বাংলাদেশ সেন্টার কেন্দ্রটি যুক্তরাজ্য চ্যারিটি কমিশনের অধীনে নিবন্ধিত একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। তাই এটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। পরিচালিত হতে হবে যুক্তরাজ্য চ্যারিটি কমিশনের আইন অনুযায়ী। হাইকমিশনার একটি সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন, কিন্তু এই ধরনের ভূমিকা সংস্থার উপর কোন নির্বাহী ক্ষমতা বহন করার কথা না। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক policy খুব স্পষ্ট: হাই কমিশনার এবং কূটনীতিকদের স্থানীয় রাজনীতি, সম্প্রদায়ের বিরোধ বা অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক বিষয়ে নিজেদেরকে জড়ানো উচিত নয়। তাদের দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে যে দেশের পক্ষে নিয়োগ পেয়েছেন সেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করা এবং বিদেশে তাদের নাগরিকদের সেবা করা – interfering হস্তক্ষেপ করা বা পক্ষপাতিত্ব তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
সাংবাদিকরা সাধারণত কারো অনুমতি ব্যতীত একটি সর্বজনীন স্থানে আপনাকে রেকর্ড করতে পারে, যদি না আপনার একান্ত ব্যক্তিগত প্রাইভেসির উপর হস্তক্ষেপ না আসে। যদি না রেকর্ডিং ব্যক্তিগত ক্রিয়াকলাপ, হয়রানি বা এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যা মানহানির মতো অধিকার লঙ্ঘন করে। তাই মান্যবর হাইকমিশনারকে এই ধরনের একটি পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আগে একটু ভেবে দেখা উচিৎ ছিল।
যুক্তরাজ্যে একটি রেজিস্টার charity সংগঠনে যারা ট্রাস্টি হিসাবে কাজ করেন তাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের দ্বারা সম্পাদিত আচরণ যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। ট্রাস্টিদের আইনত সততা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। Very sadly আমাদের কমিউনিটির মধ্যে এই ধরনের সমস্যাগুলি অব্যাহত রয়েছে।
কমিউনিটিতে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের প্রচার স্বীকৃতি খুঁজতে, তাদের নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করতে ব্যস্ত। অদ্য দুইটি কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড ceremony তে উপস্থিত ছিলাম। দেখেছি সবাই সবাইকে প্রকাশ করা নিয়ে নিয়ে ব্যস্ত। নিজের মোবাইল দিয়ে নিজে নিজেকে রেকর্ড করছেন, বাণী বিবৃতি দিচ্ছেন। অনেকেই ইউটিউবার সাংবাদিকদেরকে ডেকে নিয়ে এসে বলছেন আমার বিবৃতিটা নেন, প্লিজ। কমিউনিটি কাজের সম্পৃক্ত সকল মানুষের মধ্যে একটা তাড়াহুড়া কাজ করছে।
কমিউনিটি ওয়ার্ক যারা করেন তারা সকলেই কমিউনিটির নেতা না, unfortunately যুক্তরাজ্যে সবাই নেতা। আমরা একটা অস্থির সময় পার করছি, এই অস্থিরতা cool down হতে হলে অনেক সময় লাগবে। ধৈর্যচুতি ঘটানো যাবে না।
বাংলাদেশ সেন্টার ইন্টার্নালি কিভাবে কাজ করে, এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান যথেষ্ট সীমিত। জানা থাকলে আরো একটু ডিটেইলস লিখতে পারতাম। পেশাদারিত্ব পারস্পরিক শ্রদ্ধা ধৈর্যের সাথে আপোষ না করে নিজ স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশ সেন্টারের কর্মকর্তাদের মধ্যকার মতানৈক্য বাতাসের সাথে মিশে যাক, সেই প্রত্যাশা করছি!
ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট, চিফ এডিটর – thesylhetpost.com
আপনার মতামত লিখুন :