পঞ্চগড়ের ঝড়বৃষ্টি দমকা হওয়ার কারনে আমনের অভাবনীয় ক্ষতির শঙ্কায়


দ্যা সিলেট পোস্ট প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২, ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন /
পঞ্চগড়ের ঝড়বৃষ্টি দমকা হওয়ার কারনে আমনের অভাবনীয় ক্ষতির শঙ্কায়

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :খাদেমুল ইসলাম!

পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া প্রভাব পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা’র। এর ফলে গত দু’দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ বইছে দমকা হাওয়া। এ কারণে রোপা আমন ক্ষেত নুয়ে পড়েছে মাটিতে। যার ফলে অভাবনীয় ক্ষতির শঙ্কায় আছে কৃষকরা।

রবিবার (২ নভেম্বর ) সরেজমিনে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কাঁচা-পাকা ধানের ক্ষেত মাটিতে নুয়ে পড়ার চিত্র।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, জীবন-জীবিকার জন্য তেতুলিয়া অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। চলতি রোপা আমন মৌসুমে খরা আর বন্যাসহ নানা প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে এবার ৫ টি উপজেলায় প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক বাড়তি খরচে সেচ দিয়ে রোপণ করেছেন এই ধানচারা। ইতোমধ্যে এই ক্ষেতের ধান বড় হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও তা পাকতেও দেখা গেছে। এ অবস্থায় পঞ্চগড় প্রভাব পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা’র। এর ফলে গত দু’দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ বইছে দমকা হাওয়া। এ কারণে রোপা আমন ক্ষেত নুয়ে পড়েছে মাটিতে। যার ফলে অভাবনীয় ক্ষতির শঙ্কায় করা হচ্ছে।

তিরনই হাটের ইউসুফ আলী নামের এক কৃষক বলেন, এ বছরে তিন বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছি। প্রথমের দিকে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছিল। এরপর গত দু’দিনের বৈরী আবহাওয়ার কবলে ৩০ ভাগ ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

আরেক কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়ার কারণে ২৫ শতক জমির ধানগাছ নুয়ে পড়েছে মাটিতে। এ কারণে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

তেতুলিয়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা জীবন ইসলাম বলেন, ধান গাছ হেলে পড়ে গেছে। তবে ক্ষতির শঙ্কা নেই। এসব গাছ ‘লজিং আপ’ করলে রক্ষা পাবেন কৃষকরা। এ নিয়ে মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।