কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কুলাউড়ায় বিএনপির ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে হামলা, ভাংচুর, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলা এবং সম্মেলন পন্ড করার অভিযোগে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। গত ২৫ মে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খান এবং যুগ্ম আহবায়ক বদরুল হোসেন খান ৩ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার সময় বেধে দিয়ে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৩ মে) পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলের নির্ধারিত তারিখ ধার্য করা ছিল। কাউন্সিল চলাকালে পৃথিমপাশা ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য নবাব আলী তকী খান এবং আজমল হোসেন চৌধুরী বাতেন, আব্বাস আলী মেম্বার, বিএনপির সদস্য শেখ মোহাম্মদ আলী ও মো. শামছুল ইসলাম ছাত্রদল- যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠানে হামলা করে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে হেনস্তা করেন। তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলে সম্মেলন পন্ড করে দেন।
নোটিশের অনুলিপি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গউছ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের কাছেও প্রেরণ করা হয়।
বিএনপির স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল ছিল। কাউন্সিলের সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন ছিল। অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছলে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল শুরু করেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির নেতা ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন ভুইয়া। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা আকদ্দস আলী মাস্টার, মঈনুল হক বকুল এবং আবু সুফিয়ান।
একপর্যায়ে অভিযুক্তরা জেলা ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নবাব আলী হাসিব খান ও যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বেলাল আহমেদ রব্বানসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে কাউন্সিলে বাধার সৃষ্টি করেন। এসময় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কাউন্সিলের প্রধান অতিথি ও ইউনিয়নের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন ভুঁইয়াসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল স্থগিত করে কুলাউড়ায় ফিরে যান।
ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নবাব আলী হাসিব খান বলেন, উপজেলা বিএনপির কয়েক নেতা টাকার বিনিময়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিএনপিতে পুনর্বাসন করছেন। সাধারণ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে তা প্রতিহত করেছে। আগামীতেও বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে কোনো দলীয় কার্যক্রম চালালে এরকম প্রতিহত করা হবে।
পৃথিমপাশা ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া জানান, পৃথিমপাশা ইউনিয়নে বিএনপির সম্মেলনে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ও নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য নবাব আলী তকী খান এবং আজমল হোসেন চৌধুরী বাতেন, আব্বাস আলী মেম্বার, বিএনপির সদস্য শেখ মোহাম্মদ আলী ও মো. শামছুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাবেক এমপি সাহেবের ভাই নবাব আলী তকী খান এবং ছেলে আলী হাসিব খান পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আমরা কাউন্সিল স্থগিত করে ফিরে এসেছি।
আপনার মতামত লিখুন :